বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

'মা' ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী "এবং একুশে" প্রকাশিত আমার লেখা কবিতা ঃসম্পাদিকা সুস্মিতা বসু সিং ০১.১১.২০১৫


 


       

Sunday, 1 November 2015

ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী



মা 
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী




এক বৃষ্টি ভেজা সকালে
ইন্দ্রধনুকে চেয়েছিলাম কত
রং বেরং জীবনকে
রঙিন করার জন্যে
ফাগুনের সন্ধ্যাতে
ফুলকে অনুরোধ করলাম
আকাশে বাতাসে
সুগন্ধ ছড়ানর জন্যে।
নিরস জীবনকে
হাঁসি ঠাট্টা মিষ্টি ভরা মুখে
জীবন কে উপভোগ করার জন্যে।
হাত পেতে চেয়েছিলাম 'চাঁদ' কে
জ্যোৎস্না থেকে অঞ্জলি ভরে
আমার মায়ের স্নেহের পরশে
অকুণ্ঠ ভালবাসার জন্যে।
সাগর তীরে অন্যমনস্ক
ভাবে ছুটে ছিলাম
ঢেউকে ছোঁয়ার
মিথ্যা অভিলাষের জন্যে।
সমুদ্রের গুরু গম্ভীর সঙ্গীতের
তালে মূর্ছিত হলাম
কিছুক্ষণের জন্যে।
বিভোর হয়ে শুনছিলাম
ঢেউগুলো মাথা ঠুকে
আর্তনাদ করছিল
কিছু বলার জন্যে।
জানিনা কখন যে
হারিয়ে ছিলাম দিগ্বলয়ের
প্রান্তে নির্বাক হয়ে
বোধ হয় কারুর জন্যে।
হঠাৎ চমকে উঠি
কে? বলে কপালে হাত দিয়ে
এইতো আমি আছি
তোদেরই কাছে
আমি তোদেরই ‘মা’
বেঁচে আছি তোদেরই জন্যে।


শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

আজকের স্বাধীনতা ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ১৫.১০.২০১৫



আজকের স্বাধীনতা 
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ১৫.১০.২০১৫
স্বাধীনতা ! সে এক দুঃস্বপ্ন এখন 
লুটেপুটে খাও ভাই পেয়েছ যখন । 
দেশের চিন্তা ‘ভেড়ারা’ করে , 
লোকের উপকার ‘গাধারা’ করে ।
মগজে বুদ্ধি আছে ? তুলে নাও টাকা ।
সততা দেখিওনা... লোকে বলবে বোকা ।
এটাই আজ মানব ধর্ম ,
মানুষ তারে কয় যে করে এই কর্ম ।
অরাজকতা
দেশে যদি অরাজকতা শীর্ষে পৌঁছয়
অরণ্যে রোদন ছাড়া নেই কোন উপায় ।
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ১৫.১০.২০১৫




ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ২৩.১০.২০১৫
মানুষ হয়ে যে , পশুর আচরণ করে 
পশুও তাকে দেখে কৃপা যে করে । 
অমানুষ পৃথিবীতে হয়েছে অশেষ 
মানুষ তবুও কিছু আছে হয়নি শেষ । 
মানবিও গুন সব হয়েছে লুপ্ত
পথে ঘাটে ছবি দেখে হয় সব ক্ষুব্ধ ।
তবুও মানুষ বেঁচে আছে থাকবে
পঙ্গু হয়ে বেঁচে থাকার স্বাদ টুকু থাকবে ।

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

মা ~ ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫



     


মা ~ 

ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

এক বৃষ্টি ভেজা সকালে 
ইন্দ্রধনুকে চেয়েছিলাম কত
রং বেরং জীবনকে
রঙিন করার জন্যে
ফাগুনের সন্ধ্যাতে
ফুলকে অনুরোধ করলাম
আকাশে বাতাসে
সুগন্ধ ছড়ানর জন্যে ।
নিরস জীবনকে
হাঁসি ঠাট্টা মিষ্টি ভরা মুখে
জীবন কে উপভোগ করার জন্যে ।
হাত পেতে চেয়েছিলাম 'চাঁদ' কে
জ্যোৎস্না থেকে অঞ্জলি ভরে
আমার মায়ের স্নেহের পরশে
অকুণ্ঠ ভালবাসার জন্যে ।
সাগর তীরে অন্যমনস্ক
ভাবে ছুটে ছিলাম
ঢেউকে ছোঁয়ার
মিথ্যা অভিলাষের জন্যে ।
সমুদ্রের গুরু গম্ভীর সঙ্গীতের
তালে মূর্ছিত হলাম
কিছুক্ষণের জন্যে ।
বিভোর হয়ে শুনছিলাম
ঢেউগুলো মাথা ঠুকে
আর্তনাদ করছিল
কিছু বলার জন্যে ।
জানিনা কখন যে
হারিয়ে ছিলাম দিগ্বলয়ের
প্রান্তে নির্বাক হয়ে
বোধ হয় কারুর জন্যে ।
হঠাৎ চমকে উঠি
কে ? বলে কপালে হাত দিয়ে
এইত আমি আছি
তোদেরি কাছে
আমি তোদেরি ‘মা’
বেঁচে আছি তোদেরি জন্যে ।

রবিবার, ১০ মে, ২০১৫


  পলাশ

ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ১১.০৫.২০১৫ / বেলা ১০.২৮

শূন্য শাখায় পলাশ ফুটেছে

স্বপ্নের মত ডালে
,
গন্ধ বিহীন রূপ লাবণ্যে

সরমেতে ফোটে ডালে ।

বন্য তবুও সুন্দর সে

অনাদরে ঝরে পডে
,
অগম্য বনানী সরু বাঁকা পথে

পথিকের চোখে পডে ।

জানেনা কার অভিশাপে সে

ধরায়ে লুটিয়া পডে ,

বিরহ বৈশাখের উত্তপ্ত যৌবনে

অবহেলায় ঝরিয়া পডে

কেউ তারে দেয়না স্নেহের পরশ

কেউ রাখেনা ফুলদানিতে ,

বুনো ফুলের শোভা আছে শুধু

গন্ধ নাইত তাতে ।

তাইত অভিমানে পলাশ

গাইছে তার ই গাথা
 ,
মনে রেখ এই শ্যামল বনানীতে

আমি আছি তুলে মাথা ।


***/ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী/***

শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫

অন্যনিষাদ এর ২৫শে বৈশাখের কবিতা সমূহ ।

 অন্যনিষাদ এর ২৫শে বৈশাখের কবিতা সমূহ ।
   
পঁচিশে বৈশাখ

শূন্যতার সেতু বেয়ে বেয়ে
ভেসে আসে গান
সবুজ স্বপ্নের দান
জীবন্ত রুপোর কাঠিতে।
এই রূঢ় ব্যথার মাটিতে
অনিঃশেষ সোনার ফসল
অফুরান তৃষ্ণার জল
আনমনে ওঠে গান গেয়ে।
সুরের সমুদ্র থেকে নেয়ে
উঠে আসে যেন মহাকাল
শব্দের স্রোতেই মাতাল
শুয়ে পড়ে শীতল পাটিতে
হৃদয়ের গোপন ঘাঁটিতে
বিমূর্ত শব্দ পাতে হাত
জেগে থেকে আজও সারারাত
যত খুঁজি অন্ধকার বাঁক
আলো দেয় পঁচিশে বৈশাখ!
শূন্যতার সেতু বেয়ে বেয়ে
ভেসে আসে গান
সবুজ স্বপ্নের দান
জীবন্ত রুপোর কাঠিতে।
এই রূঢ় ব্যথার মাটিতে
অনিঃশেষ সোনার ফসল
অফুরান তৃষ্ণার জল
আনমনে ওঠে গান গেয়ে।
সুরের সমুদ্র থেকে নেয়ে
উঠে আসে যেন মহাকাল
শব্দের স্রোতেই মাতাল
শুয়ে পড়ে শীতল পাটিতে
হৃদয়ের গোপন ঘাঁটিতে
বিমূর্ত শব্দ পাতে হাত
জেগে থেকে আজও সারারাত
যত খুঁজি অন্ধকার বাঁক

আলো দেয় পঁচিশে বৈশাখ!
লাভ-লেটার

কেমন আছ রবিবাবু ? ভালই আছ নিশ্চয়ই অই গোটা আকাশখানা আর এমনকি অই গদ্যপানা সবুজ পাহাড় সবই তো তোমার ... খোয়াইয়ের প্রাসাদে প্রমোদ তরণী ভাসালে বুঝি ? কে ছিল সাথে ? ভাই ছুটি নাকি তোমার সেই আহ্লাদী নতুন বৌঠান ?
দ্যাখো রবিবাবু , সোজা কথা সোজাসুজি বলা ভালো । আমি অত লুকোচুরি করতে পারিনে । মরেছি প্রেমে  ... তোমার আর নতুন বৌঠানের সম্পর্কটুকু নিয়ে রাতের পর রাত ভেবেছি ... কতখানি এগিয়েছ বলোতো তোমরা  , নয়নলোভন তাঁর গৃহখানি আর তোমার সেতার দোলানো ঝুলনা ... না , রবিবাবু , চুপ করে থাকলে চলবে না ... আজ তোমাকে বলতেই হবে ...আমাকেও জানতে হবে মশালের জলে কার আগুনের তেজ দ্বিগুণ ? কে তোমার ত্রিগুনাতীত ? সে না আমি ?

রবিবাবু , আমি জানি , তোমার সামনে অজস্র রঙিন সেতু । আর তুমি নিজেও অসহ্য , অসহ্য রকমের সুন্দর ... তোমার বুকের ভেতর ঝাঁপিয়ে পরতে সাধ হয় আমারও ... ইচ্ছে করে টুসটুসে গোলাপিজাম সমারোহ করি , ইচ্ছে করে তোমার সাথে পালিয়ে যাই ... তোমার সংসার উড়ে যাক , পুড়ে যাক পরগণার পর পরগণা , আমি আমার সাধের সভাঘর , বোগনিয়া ফুলের মধুতায় তোমাকে , তোমার বৈদূর্য শিকার করি । কী জানি বাপু , তোমার তো আবার সব রাজ-রাজড়ার কারবার ... কী ভাবছ ? আমার ঐশ্বর্য লোভী চেহারা দেখে । চমকে উঠছ বুঝি ? আহা ! তোমার নতুন বৌঠান বুঝি লোভী নয় ? স্বামী তো তারও ছিল , নিজের বুকে আটকে রাথতে পারেনি , সে তাঁর ব্যাপার ...সে কেন তোমাকে কেড়ে নেবে ? আমি বুঝি তার মত সুন্দরী নই ? আমি কেনো পিছিয়ে থাকবো ?
আমি বুঝি তাঁর মত চুমু খেতে পারিনে ? ছলকে উঠতে পারিনে , এতই আঁধার আমার ...
কেয়া বাত , হেসে উঠলে বুঝি ?
আমিও হাস্তে পারি কটাক্ষের হাসি ... ঠাট্টা করছ রবিবাবু ? করো । স্বীকার করছি , বয়েস যত বাড়ছে , তত বেশি প্রমাদ গুনছি আমি ... শুনেছি , পৃথিবী রাশির জাতকরা নাকি জাতপ্রেমিক ... প্রেমের বেদ উপনিষদ পুরাণ সবই কণ্ঠস্থ তাদের ... অজগরের মুঠি শক্ত করে প্রেমিকাদের একজোট করাই তাদের একমাত্র নাভি এবং নক্ষত্র ...
ভয় হয় নিজের জন্যেই ... তোমাকে এইভাবে চাইতে চাইতে আর না পেতে পেতে আমি যদি মৃত্যুঞ্জয় হয়ে যাই ,... কী বলবে তুমি ? আমি শুধুই অমিত আর লাবণ্যের সালতামামি ...
একবার , শুধু একবার তোমার কবিতা হবো রবিবাবু , তোমার উপন্যাসে মাথা রেখে ঘুমবো , তুমি আমার চোখের পাতায় চুমু খাবে , আমার ঝর্ণার বৈষ্ণবী বিভঙ্গে অন্তহীন হবে তুমি  , তোমার সাথে অভিসারে যাবো শিলং পাহাড়ে , একান্ত নৌকাডুবিতে অভিসারিকা হবো , রবিবাবু , তুমি মায়ামৃগ আর জ্যোৎস্নার করতল ... আমি তোমাতেই সমাধি যাবো ...

মোহিনী আর সুফি অট্টালিকায় বাসর হবে আমাদের ।একজোড়া নদী , একপায়ে খাড়া তালগাছ ... রসে-বসে তোলপাড় ...রবিবাবু , দেখে নিও একদিন আমার প্রথম কলঙ্কেই ধান্যভারনম্র হবে তোমার দ্বিতীয় গীতাঞ্জলী ... 
কবির প্রতি

সার্ধশতবর্ষ আগে কোন এক বিস্মৃত প্রভাতে
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গে তোমার প্রকাশ।
জীবন মথিত সুধা কাব্য-গীত-মন্দাকিনী-রূপে
এ রূক্ষ ভারতভূমি করিল সরসা।
নব রূপ-রস-গন্ধে দশদিক করি মাতোয়ারা,
কে তুমি বন্ধনহারা!
বারিধারা সিঞ্চনেনবীন প্রাণের আবাহনে,
ফোটালে কুসুমরাজি কাব্যের ঊষর অঙ্গণে
হাতে লয়ে অমৃতের ঝারি।
জগতের যত প্রেমযত সুখ,
যা কিছু বেদনভরা বাণী ---
তোমার লেখনী মাঝে হয়েছে বাঙময়
স্বর্ণাক্ষরে রয়ে গেছে তোমার স্বাক্ষর।
জীবনে জীবন যোগ করি,
লিখে গেছো মরমের ভাষা।
ভূবনের বরমাল্যখানি
এ দীনা জননী-কন্ঠে দুলায়েছো আনি।
তুমি জীবনের কবিতুমি কবি বিশ্ব জগতের,
আজি পূণ্যক্ষণে ---
যে সুর-নির্ঝরিণী পশিতেছে কানে,

তোমারে বন্দনা করি সেই ছন্দে গানে।
দুটি ছড়া
পঁচিশে বৈশাখ

বৃষ্টি পড়ে পাতা নড়ে
এবং নড়ে জল,
বোশেখ মাসে কোন হরষে
প্রাণেতে কল্লোল?
পুকুর পাড়ে বটের ঝুরি
প্রজাপতির ঝাঁক,
বালকবেলার ডাক দিয়ে যায়
পঁচিশে বৈশাখ!

গীতাঞ্জলি

কোথায় থাকেন রবীন্দ্রনাথ
কোন সুদূরে বাস?
আমাকে নিস সঙ্গে করে
কখনো যদি যাস!
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বলেই
মধুময় এ ধরা,
গীতাঞ্জলি থাকলে মনে

জয় করা যায় জ্বরা।
রবীন্দ্রনাথ

পায়ের নীচে তপ্ত মাটি মাথায় পোড়া আকাশ
কেউ যেন তার পাশে দাঁড়ায়ঃসামনে দিকে  তাকাস।
বন্ধুবিহীন দুঃসহ দিন উদাস গিরিপথ
ডাক শুনে কেউ নাইবা আসুক একলা চলার ব্রত।
মনখারাপের মেঘলা বিকেল মাথার পরে হাত
ভয় নেই তার খুলবে দুয়ার আছেন রবীন্দ্রনাথ।প্রিয়জনের মৃত্যুবিয়োগ কান্না ভেজা চোখ
কে ভোলাবে এই যাতনা তীব্রতম শোক।
ঝড়ের প্রহর ভেঙেছে ঘর কিম্বা পরাজয়
দহনদিনে  ভরসা ছায়া আছেন জ্যোতির্ময়।
বিপন্নতায় কোন স্নেহছায় কাটবে আধাঁর রাত
ভয় নেই তার খুলবে দুয়ার আছেন রবীন্দ্রনাথ।


যেভাবেই চাই

কি যে দিই ছাই ছাতা পাতি হাত অনন্ত চাওয়ায়
গান নেব সুর নেব আলো নেব জীবনের অসীম ক্ষুধায়
এই ক্ষোভে এই দ্রোহে এই নত ঝঞ্ঝা ও মৃত্যু আঘাতে
কাছে নাও শুশ্রূষা হাত রাখো বেসামাল কান্না দমকে
শান্তি সুধা নামে গনগনে দুপুরের আঁচে পরিধিতে জল
সফেদ শীতল টলমলআমাদের ছায়াতরু মিটিমিটি হাসে
প্রশমিত রাগে অনুরাগে চোখে মুখে অমলিন আদরে সোহাগে 
তোমার প্রকাশ হলে অন্ধকারে দিনাভাসে প্রিয় বিবস্বান
বহুশ্রুত কথকতা মনি জিঞ্জিরে তুলে রাখা সময়ের বই
টান মারি যখনি মনে করি একলা একালাগা খেয়ে ফেলে ঘর
সচল ছন্দময় ভরে ওঠে আনন্দমঠ নিঃশর্ত উদ্ভাসে

যেভাবেই চাই আমি ঠাকুরের থানে প্রিয়তম বাঁধা নাগপাশে
রবিঠাকুর হে

চৌচির সময়ের টুকরোয়
হাত দুপাশে ঝোলে
নড়বড়ে মাথা টাল খেয়ে
নর্দমার পচা পাঁকে গড়ায়,
দুহাত বাড়িয়েও নাগালের
বাইরে যত সুখের বন্ধু
মচমচে খড়কুটো।
তখন ভেতরে তুষারঝড়
তখন বাইরে কালবৈশাখী
তখন আশার ব্যাঙ-আধুলি
বিমূর্ত হয়ে তিরতির কাঁপানো
ভায়োলিনের মূর্ছনায়
ধোঁয়া হয়ে যায়।
শবরশিকারী আদিগন্ত কালো
ছিঁড়েখুড়ে তখনই ঝলসে
ওঠে একমাত্র তোমারই
আফ্রিকান জ্যাজমন্দ্রিত কন্ঠ-
'আছি আছি আছি
ওপরেও আছি নীচেও আছি,
আছি আছি তোর
এপাশেও আছি ওপাশেও আছি,
কালো ঘন কালো মুছিয়ে
দুপাশে আছি আছি আছি ...'
তখনই ব্রাহ্ম মূহুর্তে

পাখিরা ডেকে ওঠে।
উপলক্ষে ২৫শে বৈশাখ

অজস্র ভঙ্গুর প্রশ্ন ঘাত,অভিঘাতউত্তরণে
আঁতিপাঁতি খুঁজে ফিরি অকুণ্ঠ নিজেকে ;

উপলক্ষে ২৫শে বৈশাখ ।
সাবেকি পুরনো এক
চিরনতুনের ডাক
মনে হয় তবু তাও এ ভাবেই জুড়ে থাক
চেনা জানা অস্তিত্বের সম্পৃক্ত আশ্রয়ে ;
                                 কেন যেন মনে হয় অনাগত ধূসর সময়ে

সে-ই হবে ঐকাত্ম্যের ন্যূনতম সেতু ।
রঙধনু কথার খেয়ায়
হাতছানি নদী বেয়ে যে নাবিক যায়
তার হাতে
শ্লোগানেশপথে,
খবর পাঠাতে হবে বোশেখী গাওয়ার
সাবলীল গান কোন মুখর হাওয়ার ।

স্পর্ধা ও উষ্মার কথা পরিবর্ত প্রবাহের খাত

প্রয়াস প্রগ্‌লভ মুছে যাক ;উপলক্ষে ২৫শে বৈশাখ ।


ওতপ্রোত 

একজন দুঃখ করে লিখেছিল 
বৃষ্টি ভেজা মাটির দেয়াল যেন সোঁদা গন্ধে
ভরে দিত জীবন কখন । ধান সিদ্ধ করা
বাতাসের ম-ম গন্ধে পরাণ আকুল হোত একদিন
লিখলাম তাকে – ‘বোঝা গেল,
গুরুদেব ছাড়া হয়ে আছ বহুদিন’ 
লাজে রাঙা স্মিত হেসে মেয়েটি সেদিনবলেছিল 
দু-লাইন লিখে দাও,
জন্মদিনে ওকে সেটা দিতে চাই ।
দেখোযেন আমারই কথার মত হয়’ 
লিখলাম – ‘বোঝা গেল,
গুরুদেব ছাড়া হয়ে আছ বহুদিন’ 
একটা যে রাঙা ফুল গেঁথে দেবো
নন্দিনীর মেঘ এলো চুলেযো নেই তার
করবীর গাছগুলো সব মরে গেছে অলক্ষ্যে কখন’ 
দুঃখভারে বলেছে ছেলেটি ।
বললাম তাকে – ‘বোঝা গেল,
গুরুদেব ছাড়া হয়ে আছ বহুদিন’ 
তখন ঈশান কোনে মেঘেদের তীব্র ঘনঘটা
অবিশ্রান্ত মল্লার সোহাগে বাতাসের উদ্দাম হিল্লোল
ছপ্‌ছপ্‌ ছপ্‌ছপ্‌ জলখেলা সারাদিন আমের বাগানে ।
কে যেন সে হাঁক পাড়ে – ‘গেল গেল,
ভেসে গেল সবপন্ড হোল সমস্ত জরুরী’ 
লুকোনো খাতার পাতা খুলে চুপিচুপি লিখলাম – ‘বোঝা গেল,
গুরুদেব ছাড়া হয়ে আছ বহুদিন’ 
দৈনন্দিন ছাপোষা জীবনে
নুন-পান্তাহাসি-কান্নাআদর-বচসা
ঠিক সুরে ঠিক ছন্দে নাই বাজে যদিবোঝা যায়
গুরুদেব ছাড়া হয়ে আছি বহুদিন

বাংলার আকাশেসূর্য অস্ত যায় না কখনও ।

বৃহস্পতিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

চুমুর গান / অলভ্য ঘোষ /



 চুমুর গান

অলভ্য ঘোষ

যদি চুমাচুমিতেই মানব শৃঙ্খল গড়ে গড়ুক ।
দিক হারা যুবা প্রতিবাদে আজ প্রেমিকার বুকে মরুক ।
গণতন্ত্রের ষড়যন্ত্রে বাড়ছে হামলা তন্ত্র ।
যন্ত্রর মন্ত্রর বলে মানব হয়েছে যন্ত্র ।
প্রকাশ্যে যে দেশে খাওয়া চলে ঘুস ।
চুমু খেলে জাত যায়-নাকি; ধুস !

যদি চুমা চুমোতেই তারণ্য জাগে জেগে বিদ্রোহ প্রতিরোধ ।
শালীনতা খুচবে যেজোন অতীব অবোধ ।
প্রতি জন্মোই নগ্ন পোশাকে ফ্রয়েডিয় সৌন্দর্য !
নাকসিটকিয়ে রোখা যায়নাকো যৌবন বীরবীর্য ।

কামসূত্রের ভারতবর্ষে আন্দোলনেও কামের কামর ।
ফ্রেঞ্চ কিস্ খেয়ে যাদবপুর আজ খাজুরাহের হোকনা দোসর ।
ছিঁড়ুক যত ওষ্ঠ যুগল বৈষম্যের উওর মেঙ্গে ।
তোমার প্রতিবাদ ও বন্ধু হয়ে চলুক তোমার ঢংয়ে!

তবু ভুলে যেয়না যত্র তত্র বিভ্রান্তিরও ছড়াছড়ি ।
জ্বলে ওঠা আঁচ নিভতে যেন হয়না প্রেমের বাড়াবাড়ি ।
চুমা চুমা দে হিন্দি ছবি স্থূল কছু চেয়না ।
মনে রেখ ভায়া শুধু চুমু খেয়ে মানবের পেট ভরে না ।
বার্ন দ্য ব্রা , কিমেন অথবা ফ্রি দ্য নিপন হোক ভাল ।
সিপাহী তেলেঙ্গানার মশালো তোমার এ পথ করুক আলো ।

ভুলে যেয়োনা চোখরাঙ্গানী বঞ্চিত দেশ বঞ্চিত শতকোটি ।
চুম্বনে তুমি ভরো না অধর ছুঁয়ে দাও দেখি অধরার গতি ।