শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

নীল চাঁদ ( BLUE MOON) on 31st August 2012 ,7.25 PM.

নীল চাঁদ ( BLUE MOON) on 31st August 2012 ,7.25 PM.

সব দিন চাঁদ ওঠে আজ ও আকাশে ছিল
আজ সেই চাঁদ নয় আজ নীল চাঁদ ছিল।
নীল তার রং সে যে নীলিমায় নীল
নীল জ্যোৎস্নাতে সে এক অপরুপ মিল।
আকাশের চাঁদটা ঠিক যেন নিলাম্বরা
ভুবন মোহিনি সে কি স্বর্গের অপ্সরা?
এক গাল হেঁসে চাঁদ বলে তোরা কারা
আগে কি দেখিস নি মুখ কেন হাঁ করা।
আমার রুপ টা ছলনার রুপে ভরা
কাছে এসে দেখ আমি যে গর্তে ভরা।
দুরের পাহাড যেমন দেখায় রে সুন্দর
আমিও দেখতে তাই দূর থেকে সুন্দর।
কতো আ্যসট্রোনাউট বুকে দিল যে পাডী
খুঁজলো আমার বুকে ফেলে রিমোর্ট গাডী।
আমি আছি আমি থাকবো তোরা বদলে যাবি
আমি আসি নীল বেসে ‘নীল চাঁদ’ দেখে যাবি

ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী /৩১.০৮.২০১২ রাত ১০ টা

বৃষ্টি / সুপ্রিয় বন্দপাধ্যায়


বৃষ্টি তুই মনখারাপের খবর কেন আনিস ?
বৃষ্টি তুই সর্বনাশের খেলাই শুধু জানিস !
বৃষ্টি তুই আগুন জ্বালাস বুকে আচম্বিতে
বৃষ্টি তোর আনাগোনা অজ্ঞাতে সম্বিতে।
বৃষ্টি তোকে মাখবো বলে দেদার ভিজেছিলাম
বৃষ্টি তোকে ভালোবেসে নামটা ‘বৃষ্টি’ দিলাম।
বৃষ্টি তোকে আজও চোখে ঝাপসা  দেখি আমি
বৃষ্টি নামে ঘর ছাডা মুখ পথেই বলে থামি ।  
বৃষ্টি তুই ক্যানভাসে যে মিছেই ছোটাস ধারা
বৃষ্টি তুই মাতাল কোরিস মনে জাগাস সাডা
বৃষ্টি তোকে আটকে রাখে বাঁধ দিয়ে যারা
বৃষ্টি তুই বদলে দিস তাদের জীবন ধারা
বৃষ্টি তুই চাষ আবাদে চষির মুখের হাঁসি
বৃষ্টি তুই পারিস দিতে সকলের মুখে হাঁসি

সুপ্রিয় বন্দপাধ্যায় 

কবিতা কাকে বলে ?

কবিতা কাকে বলে ?

চরণে চরণে মাত্রা ভাঙিয়া, ছন্দ ও অন্তমিল বজায় রাখিয়া যাহা লেখা হয় তাহাই কবিতা। এই ভাষারীতি যেমন অচল, তেমনি অচল এই ডেফিনেশন।

এর পরে ভাবনা বদলে গেল। কবিতার সঙ্গা বদলে এল গদ্য কবিতা। গদ্য কবিতার মূল সুরটা কি ? অন্তমিল ও ছন্দের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে ভাব ও মাত্রাগত জায়গাটিতে ঠিক থাকলেই কবিতা কবিতা হয়ে উঠত। সেদিন ও গেল, সেও মেলা দিন। এখন নাকি চলছে মুক্তগদ্য। কি তার আকার প্রকার, ছন্দ ব্

যকরণ, কবিরাই ঠাওর করে উঠতে পারছে কিনা সন্দেহ। বড় বড় প্যারাগ্রাফ যাতে মাত্রা পর্যন্ত রক্ষিত হচ্ছে না তাও কবিতা বলে বিবেচিত। অতএব কবিতার গন্ডি কতটা বাড়ল সেটাই দেখার বিষয়

তাই বলব কবিতা ডেফিনেশন অনুযায়ী হওয়া তেমন বড় ব্যাপার না। কতটা ভেতরে গিয়ে লাগল। শব্দগুলো কতটা পোড়া্ল, কতটা কাদাল কিংবা হাসাল ওটাই কবিতার সঙ্গা নির্ধারণে এযুগের মাপকাঠি। মানুষভেদে যা আবার বদলে বদলে যায়
 — 

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ঝুমরি ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী ঝুমরি ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী


  
ঝুমরি 

ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী


ছেলেঃ- ঝুমরি তোর  নাচের তালে মাদল বাজে আমার
চেনা গানের সুরের তালে মাতাল হলাম আবার 
মেয়েঃ- ঝুমরি তোর গানের সুরে পাগল হল আবার
রসিক নাগোর মরদ আমার মাদল বাজা আবার
ছেলেঃ- ঝুমরি তুই ফুলের তোডা খোঁপায় লাগা আবার
ফুলের গন্ধে ভরবে আমার পরান টা যে আবার
মেয়েঃ- শক্ত হাতে সামলে নে না সরম  কেন আবার
ঝুমরি তোকে মনটা  দিল রসিক নাগর আমার
ছেলেঃ- ঢোল বাজিয়ে রাত পোহাবে নাচবি আমার সাথে  
ঝুমরি তুই আমার ছিলি থাকবি আমার সাথে
মেয়েঃ- আমার জন্যে এনে রাখিস নতুন শাডী সিন্দুর
ঘরের কোনে ঘুম পাডাবি কিনে রাখিস মাদুর
ছেলেঃ- ঝুমরি তোর নাচের তালে মাদল বাজে আমার
চেনা গানের সুরের তালে মাতাল হলাম আবার 
মেয়েঃ- ঝুমরি তোর গানের সুরে পাগল হল আবার
রসিক নাগোর মরদ আমার মাদল বাজা আবার

ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী /২৯.০৮.২০১২/৩.০০ টে  



পরবের গান 

ছেল্যা-- ঝুমরি, তুর নাচের সঙে বাইজছ্যে মাদল

চিনা গান লাগছ্যে কানে হল্যম মাতাল

মেঁইয়া-- তুর গানট শুন্যে ঝুমরি পাগল হল্যেক
রসিক নাগর মরদ আমার ফির বাজাল্যেক

ছেল্যা--ঝুমরি, তুই ফুলট আবার মাথায় দিল্যেক
উয়ার গন্ধে মনট আবার ভর‍্যে গেল্যেক

মেঁইয়া--মরণ টানে ধর ক্যানে তুই হাত দু-টাকে
ঝুমরি তুকে মনট দিছে, জানিস বটে !

ছেল্যা-- ঢোল বাজাব, আমার সঙে নাচবি রেতে
ঝুমরি তু আমার ছিলি, আমার বটে...

মেঁইয়া-- শাড়ী সি*দুর রাখবি কিনে
ঘরের ভিতর মাজুরটকে রাখবি আন্যে

ছল্যা-- ঝুমরি তুর নাচের সঙে মাদল বাজাই
চল ক্যানে তুর সঙে আবার মহুয়া খাই

মেঁইয়া--ঝুমরি তুর গানট শুন্যে পাগল হল্যেক
রসিক আমার মরদ বটে জান্ত্যে পাল্যেক...

ঝর্না চ্যটার্জী

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মেঘ দুপুরে ফারহানা খানম


মেঘ দুপুরে 


 ফারহানা খানম
এক জীবনের কত স্বপ্ন
অধরাই থেকে যায়শুধু অবগাহন
ইচ্ছের দুরন্ত নদীতে।
কতটা পথ পথের সঙ্গী হওয়া যায় !যদি সাথে যেতে চাই একটা জীবন ?
সোনালী রোদ্দুরে শঙ্খ চিলের ডানায় আঁকা
স্বপ্নেরা অলীক ,ইচ্ছেরা
অপূর্ণ অশেষ ...
তবুও আকাঙ্ক্ষার বন্যা নিভৃত মনে
সুবর্ণ স্বপ্ন চাই,ইচ্ছেরা আসুক সত্যি হয়ে
অপার আনন্দ ভাসুক এই মনোভূমি...

কোন ছায়া ছায়া মেঘ দুপুরে
যখন মন খারাপের
বৃষ্টি নামে
তখন
জলের ওড়নায় বিজলি-চকিতে
কিছু স্বপ্ন এনো তুমি
আর
দুচোখে কান্নার
অজস্রতায় কিছু আনন্দ দিও।


আশ্চর্য সহজ যান.... অমিতাভ দাশ .


আশ্চর্য সহজ যান....


অমিতাভ দাশ .

অন্যমনা ঝরা-বর্ষা আকাশে আকাশে ছন্নছাড়া মেঘ অনাবিল
মুগ্ধ শরীর-মুগ্ধ বন্য হরিণী !! বালিয়াড়ি ঝলমল তখনোভার ভার
মন্থর আবেশে আবেশেকৃষ্ণচূড়া ভাঁজে ভাঁজে বৃষ্টিবিন্দু নীল !!ছমছমে মাঠ ভরে ওঠে ভরে ওঠে ... ছন্দময় অপার বিস্তার!চোখের তারায় আর্তি - ধানক্ষেত কাশবন সরিয়ে সরিয়ে মুগ্ধতায়
ঘরে ফেরা কার... ফেরা নিজস্ব শব্দে নিঃশব্দে ... নগ্ন মহোৎসবে।
অজস্র ঢেউয়ে সফেন সফেন গাংচিল ওড়েশিহরণ ছড়িয়ে ছড়িয়ে
উদ্দাম চিল-ডাকে ওড়ে স্বাধীন স্বাধীন আর দেখে কিরকম নিরিবিলি
পাতাঝরা অরণ্যে অরণ্যে... বৃষ্টি-জাগা সাড়া ... পাতাখসানোরদেয়
শরীর শরীরেরা কোমল থেকে কোমলতম...কোমলতায়সারি দেওয়া
সারি দেওয়া পাহাড়দিগন্তরেখায় মেলা জলএকফালি আনন্দ আয়না.. দেখে অমোঘ উত্থান  অভ্যুদয় রাতজাগা শিশির মেশান বর্ষণে বর্ষণে
আর অনায়াসে কি অনায়াসেই যে স্বর্গ নাবে... স্বর্গ নাবে মাটির উঠানে --ঝুরি নামা শিকড়ে শিকড়ে আশ্চর্য মেদুর -- আশ্চর্য মেদুর সহজ যানে !

রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

শ্মশানবৈরাগ্য/ সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি


‎[ তথ্য: বারাণসী ভ্রমণ কালে,বিজয়া দশমীর বিষণ্ণ সন্ধ্যায় আমি হরিশচন্দ্র ঘাট পরিদর্শনে গিয়াছিলাম। গঙ্গা তীরবর্তী ঘাট সংলগ্ন শ্মশানে,বেশ কয়েকটি শব,দাহের অপেক্ষায় বাঁশের মাচায় শায়িত ছিল। তিন চারিটি চিতা দাউ-দাউ করিয়া জ্বলিতেছিল। চারি দিকে পোড়া চিতা কাষ্ঠ ও চিতাভস্ম,তাহার মাঝে এখানে ওখানে মৃতের ব্যবহৃত পরিচ্ছদ,শয্যা,ফুল, মালা,বাঁশের টুকরা ইত্যাদি বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়াইয়া ছিল। শবের সৎকার দৃশ্য আমার মনে করুণ রসের সৃষ্টি করিয়াছিল। তদুপরি চিতার ধুমাগ্নি ও মৃত দেহ দাহের কটু গন্ধ আমার মনে শ্মশানবৈরাগ্যের সৃষ্টি করিয়াছিল। তখন আমার মনে যে অনুভূতির সৃষ্টি হইয়াছিল,তাহাই এস্থলে বর্ণিত হইল।]


শ্মশানবৈরাগ্য
***********

পুণ্যতোয়া গঙ্গা তীরে,দূরে নির্জনে,
দাউ-দাউ জ্বলে চিতা,এখানে ওখানে।
ভস্মীভূত চিতাভস্ম,সর্বত্র ছড়ায়ে -
ডোমেরা সাজায় চিতা শুষ্ক কাষ্ঠ দিয়ে।
শায়িত শবের সারি,সবে নিষ্প্রাণ,
শেষ আশ্রয় স্থল এ মহাশ্মশান।

ধূলিতে শয়ান সবে বাঁশের মাচায়,
চিরনিদ্রিত তাই ফিরিয়া না চায়।
চন্দন চর্চিত মুখে প্রাণহীন হাসি,
গলে ফুল মালা,জ্বলে ধূপ রাশি রাশি।
শোকাতুর পরিজন জানায় বিদায় ,
'বল হরি হরি বোল' রব দূরে ধায়।

এত দিন পরিচিত ছিল ধরাধামে,
দেশ,ধর্ম,জাতি ভেদে পদবী ও নামে।
ধন,মান,গুণ,দোষ,নানা পরিমাপে,
পরিচিত হয়েছিল ক্রমে ধাপে ধাপে।
একটি জীবন ঘিরি বাঁধা ছিল সব -
যাহার বিহনে আজি শুধু মাত্র শব।

অনিত্য যে নর দেহ তিলে তিলে গড়া,
সে তো শুধু হাড়,মাস,চর্বিতে ভরা।
হৃদযন্ত্র,পাকাশয়,রক্ত,শিরা-জাল,
কেশ,চর্মে সুশোভিত উলঙ্গ কঙ্কাল।
কেমনে তাহাতে সৃষ্ট হয়েছিল প্রাণ -
কোথা হতে এলো প্রাণ,কোথা গম্য স্থান ?

কত সুখে ছিল ওরা,মনে কত আশা,
কত মান,অভিমান,তৃপ্তি,হতাশা ।
সুখ ছিল,দুখ ছিল,ছিল কামানল,
প্রেম বা বিরহ ছিল,ছিল নানা ছল।
হৃদয় অসার আজি,অনুভূতি নাই,
ক্ষণিক প্রতীক্ষা মাত্র,পুড়ে হবে ছাই।

‘জন্মিলে মরিতে হবে’-নিশ্চিত জানি,
স্থিতিকাল ব্যাপ্ত ওরা ছিল অজ্ঞানী।
ধন চাই,মান চাই,চাই যে ক্ষমতা,
কামিনী,কাঞ্চন চাই,সর্ব সার্থকতা।
চাই,চাই,চাই শুধু,করেনি যাচাই,
কোথা হতে কেন আসি,কোথা ফিরে যাই।

শ্মশানবৈরাগ্য জাগে,দেখিতে যে পাই -
অনিত্য সংসারে কেহ আপনার নাই।
যারে জানি পিতা,মাতা,ভ্রাতা ও ভগিনী,
পুত্র,কন্যা,অর্ধাঙ্গিনী,প্রেম-প্রণয়িনী।
পুত্তলিকা সম সবে রঙ্গমঞ্চ পরে,
অলখিতে সঞ্চালিছে দক্ষ বাজীকরে।

সেই মায়া বলে এত নাম,পরিচয়,
কুশীলব যেন মিথ্যা করি অভিনয়।
জীবন নাটক শেষে পড়ে যবনিকা।
পালা ক্রমে যেতে হয় সবে একা একা।
কেন আসা,কেন যাওয়া,কেন এ ছলনা,
মিছে জাল বোনা ভবে,রহিল অজানা।

জীবন-তপন ঢলে অস্তাচল পানে,
'বেলা অবসান বুঝি'-ভীতি জাগে মনে।
ধন,মান,পরিজন,নহে আপনার,
জীবতরী পার হলে ভব পারাবার।
নশ্বর জীবনে সত্য স্থায়ী কিছু নাই,
জীবনের অবশেষ শব-দগ্ধ ছাই।

তবে কেন জন্ম লয়ে,ধরণীতে আসা?
এত কোলাহল,এত আশা,ভালবাসা।
এত সুখ,এত প্রাপ্তি,এত মুগ্ধতা,
জীবনের খেলাঘরে চির ব্যাকুলতা।
এত সুর,এত গান,স্বপ্ন মায়াজাল,
প্রাণহীন হলে দেহ সব পয়মাল।

কেন তিলে তিলে গড়া এই সভ্যতা,
অধিকার লয়ে দ্বন্দ্ব,বিজিত-বিজেতা।
স্বার্থের সংঘাত লয়ে কত না লড়াই,
আপন গরিমা জ্ঞানে মিথ্যা বড়াই।
অমর হইতে চাহ,রেখে যাও দাগ।
রহিবে তোমার স্মৃতি,প্রেম অনুরাগ।

জরা,ব্যাধি মৃত্যু হতে নাহি কারো পার,
বৃথা বহে চলা ব্যর্থ জীবনের ভার।
স্মরণীয় হবে যদি হও বরণীয়,
গরল গ্রাসিয়া দেহ প্রাণের অমিয়।
এমন আসিবে দিন,তুমি শুধু নাই।
প্রতি জনপদ গৃহে স্থায়ী তব ঠাঁই।

*************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
*************************

কবিতা সঞ্জয় চ্যাটার্জ্জী



কবিতা
সঞ্জয় চ্যাটার্জ্জী

তুমি প্রেম, আমি প্রেমিক,
তুমি অঙ্গ, আমি আঙ্গিক,
তুমি যন্ত্র, আমি যান্ত্রিক,
তুমি তত্ত্ব, আমি তাত্ত্বিক,
সকলি আমার তোমাতে নিহিত,
রোমে রোমে তুমি রয়েছো গ্রথিত।

তুমি সৃষ্টি, আমি স্রষ্টা,
তুমি নিষ্ঠ, আমি নিষ্ঠা,
তুমি জল, আমি তৃষ্ণা,
তুমি কাম, আমি কামনা,
তোমাতেই সব করেছি অর্পণ,
আমি কবি, তুমি সে দর্পণ।

ওগো কবিতা আমার, আমি তোমার কবি,
তোমার রূপ বর্ণনায়, আমি আঁকি নূতন ছবি।
তুমি অঙ্গনা, তুমি ভুজঙ্গ, তুমি আমার সকল প্রত্যঙ্গ,
তোমারি কায়ার রূপ দানে আমি হয়েছি মগ্ন।