বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

মনের ব্যাথা মনেই থাক নাইবা খুলে বললে


মনের ব্যাথা মনেই থাক নাইবা খুলে বললে
বুকের ব্যথা বুকেই থাক নাইবা আমায় দেখালে
ফুলের মালা গলায় থাক নাইবা ছিঁডে ফেললে .
হাঁসির খনি মুখেই থাক নাইবা তারে দেখালে
গায়ের রং ময়লা হোগ নাইবা তারে ঢেকে রাখলে
বয়েস বাড়লো বেডেই জাগ নাই বা কেউ জানলো .
ফুলের রেনু ফুলেই থাক নাই বা তারে ছঁডলে .
মায়ের কোলে শিশু থাক নাই বা কেডে নিলে
দুনিয়াটা যেমন আছে তেমন থাক নাই বা তারে বদলালে
বদলানোর নাম ভন্ডামি নাই বা তারে দেখালে

একটি ছোট শব্দ....................

একটি ছোট শব্দ....................

ছোট্ট সে এক শব্দ, জাদু জানে
বাঁশির সুরটি বাজায় অন্যমনে
প্রাণের থেকে প্রাণে ।
...

একটি শব্দ, সঞ্জিবনী সুধা,
ফুটিয়ে তোলে শুকনো ডালে
রক্ত গোলাপ,ঘুচিয়ে সকল বাধা ।

একটি ছোট শব্দ ,ব্যাকুল করে,
সুধার ধারায় শূণ্য কুম্ভ ভরে,
মরূপ্রান্তরে শ্যামলিম সুধা ঝরে ।

ছোট্ট শব্দ, ব্যাপ্তি যে তার অসীম,
বিনা মেঘেই বৃষ্টি নামায় রিমঝিম
তার ছোঁয়াতেই হৃদয় আকাশ নিঃসীম ।।

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১২

শ্রাবন ধারা ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী


শ্রাবন ধারা                                                   

আজি শ্রাবন ধারায় বসিয়া আছি তোমার পথ চাহিয়া
তুমি আসিবে বলিয়া মন আমার ওঠে গান গাহিয়া 
একি অবিশ্রান্ত ধারা চিত্তে যাগায় পুলক আমায় 
বর্যা  মুখর দিবসে বসিয়া আমার  ই আঙ্গিনায় ।।
একি ক্লান্ত বিসম দিবস রজনি যায় যে বোহিয়া
নাহি মানে কভু কোন বাধা কোন বাঁধনের হিয়া 
আঁকি তোমারি  চিত্র নিত্য আমার মানস পটে
উত্থাল যৌবনের উন্মত্তো হৃদয় প্রেক্ষাপটে 
নাহি কভু ভুলি জাতনা বিরহের বহ্নি শ্রোতে  ।
একি ঘন মেঘের আচ্ছাদনে আন্ধার রাতে
গুনি মুহুর্ত প্রহরগুলি যায় অনিদ্রার রাতে ।।
তুমি আসিবে বলিয়া মন আমার ওঠে গান গাহিয়া 
আজি শ্রাবন ধারায় বসিয়া আছি তোমার পথ চাহিয়া
                          ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী
                     ০৩.০৮.২০১২ /সকাল০৯.০৮

ঝুমরি ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী


ঝুমরি 

ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী


ছেলেঃ- ঝুমরি তোর  নাচের তালে মাদল বাজে আমার
চেনা গানের সুরের তালে মাতাল হলাম আবার 
মেয়েঃ- ঝুমরি তোর গানের সুরে পাগল হল আবার
রসিক নাগোর মরদ আমার মাদল বাজা আবার
ছেলেঃ- ঝুমরি তুই ফুলের তোডা খোঁপায় লাগা আবার
ফুলের গন্ধে ভরবে আমার পরান টা যে আবার
মেয়েঃ- শক্ত হাতে সামলে নে না সরম  কেন আবার
ঝুমরি তোকে মনটা  দিল রসিক নাগর আমার
ছেলেঃ- ঢোল বাজিয়ে রাত পোহাবে নাচবি আমার সাথে  
ঝুমরি তুই আমার ছিলি থাকবি আমার সাথে
মেয়েঃ- আমার জন্যে এনে রাখিস নতুন শাডী সিন্দুর
ঘরের কোনে ঘুম পাডাবি কিনে রাখিস মাদুর
ছেলেঃ- ঝুমরি তোর নাচের তালে মাদল বাজে আমার
চেনা গানের সুরের তালে মাতাল হলাম আবার 
মেয়েঃ- ঝুমরি তোর গানের সুরে পাগল হল আবার
রসিক নাগোর মরদ আমার মাদল বাজা আবার

ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জ্জী /২৯.০৮.২০১২/৩.০০ টে  

মৌ দাশগুপ্তা


মৌ দাশগুপ্তা
মনের চাইতে বড় কোনো আকাশ নেই,ভাবনার চাইতে কালো কোনো মেঘ নেই,অবাধ্য মনকে শান্ত করতেই আজ দুহাতে আর্দ্রতা কুড়চ্ছি,যাতে রাত ভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়ে মনখারাপের মেঘটা উড়ে যায়
আসলেজীবনের সাথে রতিসুখের ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত মন ঢাকা পড়েছে বাস্তব নাম্নী মেঘবতীর অবিন্যস্ত কৃষ্ণকালো কেশে,সে কৃষ্ণ-কেশ আবরণ ছুঁড়ে আবার সে মনপবন হয়ে বয়েছে এদিক ওদিক,দিশাহীন
কখনও দেখছি মনের ঝোড়ো বাতাস দিক পাল্টে বয়ে গিয়েছে হৃদয়ের সড়কপথে,হিলহিলে সাপের মতো শরীর বাঁকিয়ে ; তারপর বদলেছে খোলসটুকরো অংশ ঝুলে আছে সংশয়ের ঊর্ননাভ জালে
বাকিটা এলোমেলো ঝড় হয়ে পথেই হারিয়েছে ঠিকানা,আররুদ্ধ আবেগে নিরুদ্দেশ বাতাসের ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে ,দিনরাত ছায়ার মত লেপটে থাকা নিরাকার অশরীরী মানুষ হয়ে
কেড়ে নিয়েছে সর্বস্বজীবনের শান্তি,হৃদয়ের সুখ,প্রাণের আরাম
ঝড় থামতেই আমি পথ থেকে কুড়িয়ে নিয়েছি টুকরো সুখ ,মুঠোয় ভরেছি লুটানো খুশীর চকচকে নুড়ি পাথর,আঁচল ভরে জড়ো করেছি ডানাভাঙা স্বপ্ন,দোমড়ানো কল্পনার অবশেষ,অনিচ্ছাকৃত প্রাপ্তির সুখ,গদ্যময় অবহেলা,অসমাপ্ত ভালোবাসার রূপকথা স্মৃতিরূপী বিবর্ণ সময়ের আঠা দিয়ে কুড়ানো সম্পদের বানিয়েছি সাদাকালো কোলাজকান্নাহাসির জলছবিখালি মন আমার দেখবে বলে ,আশার প্রদীপ জ্বেলে চোখের আলোয়,চিনে ফেলেছি কাব্যবিহীন এই জীবনপ্রচলিত কাব্যের নিয়ম ভেঙ্গে শব্দের ডালপালা দিয়ে সাজিয়েছি নার্সিসাসের মত আত্মপ্রেমের পদাবলীতবু জখম মনে আত্মতৃপ্তিতে অকারণেই ছন্দ পতন ঘটে!মনের ভিতরে না পাওয়া অতৃপ্তির দংশন ছড়ায় ভালোবাসার নীল বিষ