শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪

কৃষ্ণকলি অন্তরালে / সে : সারাদিন ধরে চলবে খেলা /


সে : সারাদিন ধরে চলবে খেলা
আমরা মাখব দুজনের শৈশব,
তোকে ভেজাব মেঘের পাতায়
তুই জানবি স্নান কাকে বলে!
প্রহর কাটবে পলকহীন,
নিরণিমেশ চেয়ে থাকা
তোর চোখে প্রশ্ন হঠাৎ
'কি এত দেখিস আমায়!'
আমি বলব, কই কিছু না তো!
আমি: তখন বেলা বাড়বে
আমি হাটব পাথরকুচি রঙা শাড়ি পরে
তুই শোনাবি হাজার বছরের প্রেমের কবিতা
আমি হঠাৎ যুবতী চঁাদ হয়ে যাব
তোর জ্যোৎস্নায়।।

দোলনচাঁপা ধর এর কবিতাঃ- শহরের পথে হেঁটে যাই,অসহ্য গুমোট

দোলনচাঁপা ধর এর কবিতাঃ-

শহরের পথে হেঁটে যাই,অসহ্য গুমোট
হয়ত তুইও কোথাও এমনই চলেছিস
কিছুই মেলে না আর জীবন তোর আমার
হেঁটে যাই শুধু জীবনের সীমাহীন পথ। 
এখনো সন্ধ্যা নামে ঘন হয়ে
এখনো মুগ্ধ করে ঘরে ফেরা পাখিদের গান
আকাশ কালো হয়ে আসে তেমনই
স্মৃতি জমে আছে পাহাড় প্রমান।
এখনো আকাশ লাল কৃষ্ণচূড়ায়
বকুল গন্ধ ভেজা কাঁচা পথ ধরে
কাঁচা দুটি মন আজো হেঁটে যায়
নিরন্তর ক্লেদ জমে মনের গভীরে।
এমন আসে যদি কোনও এক দিন
শেষ হবে বাঁধা পথে চলা
দেখা হবে জীবনের কোনও এক বাঁকে
তোর আমার,হতে পারে আবার কথা বলা।

মনের ভেতর / অরুণ সেনগুপ্ত ............

সাপ্তাহিক 'অন্যনিষাদ' ৩য় বর্ষ ২৭তম সংখ্যা, ২৬এপ্রিল ২০১৪ ওয়েব পত্রিকায় প্রকাশিত ।
মনের ভেতর / অরুণ সেনগুপ্ত
............
আমার মনের ভেতর কি যে আছে
টের পেলে নিজেও একবার দেখে নিতাম ।
যে আমার কখনো ক্ষতি করেনি
তাকে দেখলেই গা পিত্তি জ্বলে ওঠে
অথচ তার হাসিমুখ নিষ্পাপ শিশুটির মতন ।
নোংরা বাচ্চাগুলো আমাকে দেখলেই বিরক্ত করে
গা ঘেঁসে দাঁড়ায় যেন কত আপনার জন
যত বিরক্ত হই ততই হাত গায়ে দেয় ।
বাউলের গান শুনে শুনে হেজে পচে গেছে
তবু দুটো গান শোনাবেই পয়সা দিই বা না দিই ।
কানের কাছে কবিতার বকবক
আর ভাল্লাগে না বলে যতই বলি
যুক্তাক্ষর অন্তপ্রাস নিয়ে ব্যকারন খুলে বসে ।
অফিসের বস ধমক লাগায়
কাজের গতি মতিচ্ছন্ন দেখে
আড়ালে এসে আচ্ছা গালমন্দ করে ঝাল মেটাই
ব্যাটা বাঙালি হেটার ।
আসলে আমার মনের মধ্যে কি যে আছে
ক্রমাগত আমাকে গিলে গিলে খায়
ধরতেই পারি না ;
আঙুল দেখায় ।