শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪

আলোর মালাতে আজ সেজেছে সহর ,

ত্রিভুবন জিৎ  মুখার্জী ।

আলোর মালাতে আজ সেজেছে সহর , 
চোখ ধাঁদিয়ে যায় ... দেখে তার বহর । 
দীপের আলোর শিখা জ্বলছে চারিদিকে , 
মনের অন্ধকার ... নেই কোনদিকে । 
ঘরে ঘরে রোশনাই দেখি তার বহর , 
কোলকাতা কোলকাতা আমার সে শহর ।

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

এক মিথ্যা চাপাতে আরেক মিথ্যা বলে ,




       
এক মিথ্যা চাপাতে আরেক মিথ্যা বলে ,
এক সত্য চাপাতে আরেক মিথ্যা বলে ,
মিথ্যার জঞ্জালে পূর্ণ , মানুষের প্রতীক ! 
কোন মানুষ এরা ? এরা মায়ের প্রতীক ?
না মা’ ,না মাটি , না মানুষ ! তবে এরা কি ?
সেটাই ত প্রশ্ন ! বল তোমরা এরা কি ?


এক অশ্রু ভরা রজনীতে তোমার সঙ্গে দেখা , ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ২০.১১.২০১৪ / সকাল ৯.০৩




এক অশ্রু ভরা রজনীতে তোমার সঙ্গে দেখা 
,
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ২০.১১.২০১৪ / সকাল ৯.০৩

এক অশ্রু ভরা রজনীতে তোমার সঙ্গে দেখা ,

নির্বাক ছিলে তুমি মুখে ছিলনা কোন কথা !

নিথর পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে ছিলাম দুজনে ,

স্মৃতিগুলো মনে করে কাছে এলাম দুজনে ,

হাতে হাত রেখে কত কথাই ছিল আমাদের ,

হাঁসি খুশিতে ভরেছিল কত সুখ- ই- না ছিল আমাদের !! 

সময়ের তালে কেটে-গেল আমাদের সেই সুখের দিন , 

পরস্পরকে ছেড়ে-গেলাম ফিরে তাকাইনি কোনদিন ,

তবুও খুঁজতাম পরস্পরকে মনে মনে প্রতিদিন । 

আজ সেই দেখা ...! আন্দোলিত করে দুজনকে , 

তাই ছুটে এসেছি , জড়িয়ে ধরেছি একে অপরকে ।।

গান গেয়ে যায় আপন মনে / ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ২৯.০৮.২০১৪






        
গান গেয়ে যায় আপন মনে 

ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ২৯.০৮.২০১৪


গান গেয়ে যায় আপন মনে 

গান গায় পাখি বনে বনে 

সুর ছুঁয়ে যায় প্রাণে প্রাণে

পূর্ণ হৃদয় পূর্ণ প্রাণে
নেই তার কোন ঠোঁটে ভাষা 
হৃদয়ে আছে ভালোবাসা
গান গেয়ে যায় ডালে ডালে
নাচে সবাই তার ই তালে
সুরে সুরে পূর্ণ করে 
হৃদয় খুলে গান করে
নেই তার যে কোন বাধা 
গান গেয়ে গেয়ে হল সন্ধ্যা
অদূর হতে সুদূর পানে
সুর ছুঁয়ে যায় প্রাণে প্রাণে
আজ সেই পাখি নেই যে নীড়ে 
সবার মন তাই যে কাঁদে

সকালের চা / ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ০৮।১২।২০১৪



       

সকালের চা / ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী / ০৮।১২।২০১৪ 

ভরা পেয়ালায় তৃপ্ত মনে শেষ চুমুকেই মহা শূন্যতা


ধূমায়িত উষ্ণ শিহরন ক্ষণে মনের কাটায় বিষণ্ণতা।

 
উদ্বুদ্ধ হলাম খানিক ক্ষণে কাটিয়ে দিলাম নীরবতা,


যত আলস্য নেই অবশ্য সকালের এই স্তব্ধতা।


এক পেয়ালা চা অবশ্য পুলক অনুভবের পূর্ণতা,



এর অন্যথা জীবন ব্যর্থ নেই তাতে কোন পূর্ণতা।

'মা' ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ১৩.০৫.২০১২ / সকাল ৯.৩০



 


  ' 

 'মা'  ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ১৩.০৫.২০১২ / সকাল ৯.৩০ 

এক বৃষ্টি ভেজা সকালে 
ইন্দ্রধনুকে চেয়েছিলাম কত
রং বেরং জীবনকে
রঙিন করার জন্যে
ফাগুনের সন্ধ্যাতে
ফুলকে অনুরোধ করলাম
আকাশে বাতাসে
সুগন্ধ ছড়ানর জন্যে ।
নিরস জীবনকে
হাঁসি ঠাট্টা মিষ্টি ভরা মুখে
জীবন কে উপভোগ করার জন্যে ।
হাত পেতে চেয়েছিলাম 'চাঁদ' কে
জ্যোৎস্না থেকে অঞ্জলি ভোরে
আমার মায়ের স্নেহের পরশে
অকুণ্ঠ ভালবাসার জন্যে ।
সাগর তীরে অন্যমনস্ক
ভাবে ছুটে ছিলাম
ঢেউকে ছোঁয়ার
মিথ্যা অভিলাষের জন্যে ।
সমুদ্রের গুরু গম্ভীর সঙ্গীতের
তালে মূর্ছিত হলাম
কিছুক্ষণের জন্যে ।
বিভোর হয়ে শুনছিলাম
ঢেউগুলো মাথা ঠুকে
আর্তনাদ করছিল
কিছু বলার জন্যে ।
জানিনা কখন যে
হারিয়ে ছিলাম দিগ্বলয়ের 
প্রান্তে নির্বাক হয়ে
বোধ হয় কারুর জন্যে ।
হঠাৎ চমকে উঠি
কে ? বলে কপালে হাত দিয়ে !
এইত আমি আছি
তোদেরি কাছে
আমি তোদেরি ‘মা’
বেঁচে আছি তোদেরি জন্যে ।
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ১৩.০৫.২০১২ / সকাল ৯.৩০
·

ভোঁট / রাহুল রায়চৌধুরী



    ** ভোঁট ** কবিতাটা আমি Kali Kolom o Easel পত্রিকাকে দিয়েছিলাম । হয়ত প্রকাশিত হয়েছিল, হয়ত হয়নি, সঠিকভাবে বলতে পারব না । তবে পত্রিকার তরফে একটা 'লেখক সূচি' ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল, যেখানে নিজেকে খুঁজে পেতে অসুবিধা হয় নি, তবে লেখক কপি না পাওয়ার কারণে সঠিক তথ্য দিতে পারলাম না । যাক, এত কথায় কী কাজ ? কবিতাটা আজ প্রথম আপনাদের পড়তে দিচ্ছি । আরও একটু বলে নিই । দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ যে ভাষায় কথা বলে, ঠিক সেই ভাষাতেই লেখা হয়েছে কবিতাটি ...
ভোঁট
রাহুল রায়চৌধুরী
মা রে ... মা ! চ যাই, ভোঁট দি’আসি _______
দ্যাক্‌ মা, দ্যাক্‌ ! পাকা আস্তার মোড়ে, ভোঁটবাবুগুনো ক্যামোন চিল্লোচ্ছে
এবার জিতলি চাল, গোম, তেল ... সব দেবে বোল্‌চে
একদোম ফিরি, পয়সা নাগ্‌বে না ।
চ না মা, যাই । ভোঁট দি’আসি ______
... হাঁসপাতালি ওষুধ দেবে ।
সব আস্তা পাকা করে দেবে । গেরামে নাইট জ্বোলবে ।
ঘরের কচিমেয়েগুনো ফের ইস্কুলি যেতি পা’বে । পড়তি পা’বে ।
মেয়েছেলেরা ক্ষেতে-খামারে ফের কাজ কত্তি পা’বে । ঘরে চুলো জ্বোলবে ...
কতোদিন হয়ে গ্যালো মা, পেট পুরে খেতি পাইনি ... তুই বল !
ফের খেতি পাবো ...
চ না মা, যাই । ভোঁট দি’আসি _______
গ্যালোবার
বাগ্‌দি পাড়ার দুগ্‌গাকে উই্‌টে নে’ গ্যালো !
ইজ্জত নিলো । জানে মেরেও দিলো ।
পাটক্ষেতে ওর শরীলটা মিললো পরের দিন সোকালবেলা ।
উফ্‌ ! সে কী অক্ত গো মা, তেইকে দ্যাকা যায় না ।
গোলায়, বুকিতেনে নোক্‌ আর দাঁতের দাগ
মাইদুটো খুব্‌লে খ্যায়াচে শয়তানগুনো !
শরিল্‌টা পুলিশি নে’ গ্যালো । কাটা-ছেঁড়া কোরলো ।
একদিন পরে, ফিইরে দে’ গ্যালো । কিন্তু কাউকে ধল্লুনি, বা কিচ্ছুটি কল্লুনি !
ইবার ভোঁটবাবুরা বোল্‌চে, আর ওসব হতি দেবে না ।
তোর ক্যানো বিশ্বেস হয় না মা ?
দেক্‌বি চ ... একোনো ওরা মাইকে হাঁক্‌চে ।
চ না মা, যাই ! ভোঁট দি’আসি _______
আরও একবার বিশ্বেস করি ! জিইতে দি ।
ওদের জন্যি ‘দধীচি’ হই ...

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

প্রেয়সী তোকেই ... রাহুল রায়চৌধুরী


 প্রেয়সী তোকেই ...
রাহুল রায়চৌধুরী
তোর জন্য লিখতে পারি চৈত্র দুপুর
তোর জন্য লিখতে পারি বৃষ্টি বিকেল
তোর জন্য এক নীলাকাশ লিখতে চেয়ে
ভরছি খাতা শূন্যতাময় আবেগ দিয়ে
তুই অধরা আজও আমার এক কবিতা
তুই প্রেয়সী দেখবি না সে সত্যি চাওয়া
তোকেই চেয়ে চৈত্র দুপুর বেবাক ফাগুন
তোরই জন্য ফিরিয়েছি আজ চিতার আগুন ...
২/৪/২০১৪