রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৩

পয়লা বৈশাখ ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ১ লা বৈশাখ ১৪২০ / সোমবার /




৩৬ ছডাক্কাঃ-  বাঙ্গালীর নব বর্ষ
আজকে পয়লা বৈশাখ , আজ বাঙ্গালীর নব বর্ষ
কত গান কত আবৃত্তি,
কত নাটক কত প্রবৃত্তি ,
কত স্পৃহা কত উদ্দিপনা ,
কত চিত্র কলা কত উন্মাদনা ,
বাঙ্গালী চিরন্তন চায় নতুনত্ত তাই আজ সেই নব বর্ষ ।।


ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ১ লা বৈশাখ ১৪২০ / সোমবার /

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৩

ফাগুন দিন সোমা চক্রবর্তী


ফাগুন দিন

সোমা চক্রবর্তী

কি জানি কি হল আজি কানু হল উদাসীন,


বসন্ত বৃথা গেল, বিফল ফাগুন দিন ।


মুঠোফোন কম্পনে ময়ূরের নৃত্য


মনচোর কাছে আয় বে-আকুল চিত্ত 


আমাদের শহরেতে ধুলোমাখা রাস্তায়


ঝ্যাংচিক জীবনেতে প্রেম ভারি সস্তায় ।


পাঁচ টাকা ফোন কার্ড লাভ ইউ বলতে


প্রেম কই ? সার হ’ল পাকানোই সলতে

 ।
ক্লিক করে আঙ্গুলেতে পেয়ে যাবে বিশ্ব


কোথাকার মেঘদূত কে যে কোন যক্ষ !


প্যানপেনে রাধিকার প্রেম ফ্রেম ছাড়ো’তো


কাল ছিল ডাল খালি আজ ফুলে ভরো’তো ।

এরই মাঝে কি অবাক, বসন্ত শহরে ?


পিউ কাঁহা ডেকে যায় পলাশের আড়ালে ?


উদাস না থাকো কানু,হাত রাখো হাতে’তে


ফিরে এসো ভুলে যাওয়া পুরনো সে রাধাতে ।

মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৩

পূর্ণিমা এসেছিল / দীপক মান্না

পূর্ণিমা এসেছিল / দীপক মান্না

ঘরের ছাদে পূর্ণিমা ছিল কাল সারারাত,

ভাঙা ছিটেবেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখেছিলাম


তার রুপালী রূপ

,
সে আমায় চেয়েছিল একটা খোলা আকাশ


আর একমুঠো বাতাস


চোখ থেকে চোখ সরিয়ে


চেয়েছিল মাটির গন্ধ আর শরীরে


শিশিরের শীতলতা

,
একবিন্দু রক্তে সে বুঝেছিল


পাণ্ডবদের অভিলাষ, রক্তের কালচার।


তাকে বলেছিলাম

-
তুমি ছায়া হয়ে যাও আঁধারের আড়ালে


পৌঁছে যাও মাটির সর্বশেষ স্তরে

,
রুপালী সুর্মা লাগাও উৎসুক বীজের চোখে


আকাশ জুড়ে ছড়াও প্রেমালেখ্য


রাত্রিকে মেশাও দিনের থৈ থৈ আলোয়


নীড় বাঁধার স্বপ্ন দেখনা এই দহন বিশ্বে


সে মাথা নেড়ে


গ্লেসিয়ার হয়ে ভেসে গিয়েছিল।

বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৩

সরাবখানা :: সাকীর রুবাই ::


:: সাকীর রুবাই ::

সরাবখানার দ্বারের পাথরে করেছি আমার সজিদাস্থান । 


যাদুভরা এক সূনয়নীকে করে আমার দ্বীন ও ঈমান । 


পিয়াসী সূরায় মত্ত ধরায় লুঠায়ে পড়ে জলসাতে, 


সরাবী যত হারায়ে দিশে, হিয়াতে পশে নয়ন বাণ !

সমকৌণিক লোটা কম্বলের মায়াজাল ...অনুপম দাসশর্মা



লোটা কম্বলের মায়াজাল ...

কোন শীর্ষ সঙ্গীত নয়, বেদান্ত মন্ত্র? উঁহু
মূক সন্ন্যাসীর গেরুয়াকাপড়ে উদাসীনতার বিজ্ঞাপন
নিরাকার অস্তিত্ত্বের পায়ে পায়ে
ষড়রিপু বর্জিত অন্য আকাঙ্খা।
আকাঙ্খা? দু'হাতে জড়ো টলটল জল
যোজন যোজন দূরে ঠেলছে স্থাবর বল।

না হে, তৃতীয় চাহিদায় ঘন কুয়াশা অনস্তিত্ত্বের খোঁজ।
পাল্লায় দৌড়বাজ মন্দির-মসজিদ
একবারও মুছেছে ধর্ষিতার কান্না ? কিংবা
নিয়ম করে নোয়ানো মাথার বেকার যুবক
কবে ভরেছে সংসার দানা ইথার আশ্বাসে!

বাণভাসি ক্ষেতে বুকজল পেরোনো জননী
সন্তান মাথায় ঈশ্বর হয়ে যায়।

পাল্টে দেবার স্বপ্নে কখনও প্যাঁচা বসে না।

হাপড় বুকে অপত্য নির্দেশ পাঠায় 'মানুষ হ '
চাইলেই হলো?

বেণীমাধব বিকিয়ে গেছে সস্তা রথের মেলায়।

তবে কি হাওয়া বরণ মন্ত্র-ম্যাজিক আশায়!
নাহ্, কানের গোড়ায় 'শাহবাগ' জেন্নাতকে হারায়!
অনুপম দাসশর্মা 

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৩

পলাশ ***/ত্রিভুবনজিত্ মুখার্জী/***




পলাশ

পলাশ



শূন্য শাখায় পলাশ ফুটেছে 

স্বপ্নের মত ডালে 
,
গন্ধ বিহীন রূপ লাবণ্যে

সরমেতে ফোটে ডালে ।

বন্য তবুও সুন্দর সে

অনাদরে ঝরে পডে 
,
অগম্য বনানী সরু বাঁকা পথে 

পথিকের চোখে পডে ।

জানেনা কার অভিশাপে সে

ধরায়ে লুটিয়া পডে ,

বিরহ বৈশাখের উত্তপ্ত যৌবনে

অবহেলায় ঝরিয়া পডে 

কেউ তারে দেয়না স্নেহের পরশ

কেউ রাখেনা ফুলদানিতে ,

বুনো ফুলের শোভা আছে শুধু

গন্ধ নাইত তাতে । 

তাইত অভিমানে পলাশ

গাইছে তার ই গাথা
 ,
মনে রেখ এই শ্যামল বনানীতে

আমি আছি তুলে মাথা ।



***/ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী/***

তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর

জলে ভেজা কবিতায়

আছো সরোয়ার্দী,শেরেবাংলা, ভাসানীর শেষ

ইচ্ছায়

তুমি বঙ্গবন্ধুর

রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন

তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার


স্বপন,


তুমি ছেলে হারা মা জাহানারা ঈমামের


একাত্তরের দিনগুলি


তুমি জসীম উদ্দিনের নকশী কাথার মাঠ,


মুঠো মুঠো সোনার ধুলি,


তুমি তিরিশ কিংবা তার অধিক


লাখো শহীদের প্রান


তুমি শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীর, ভাই


হারা একুশের গান।


আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায়


ভালোবাসি,


জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায়


ভালোবাসি।


আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায়


ভালোবাসি


প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড়


বেশী ভালোবাসি।


তুমি কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা উন্নত


মম্ শীর


তুমি রক্তের কালিতে লেখা নাম, সাত শ্রেষ্ট


বীর


তুমি সুরের পাখি আব্বাসের, দরদ ভরা সেই


গান
তুমি আব্দুল আলীমের সর্বনাশা পদ্মা নদীর


টান।


তুমি সুফিয়া কামালের কাব্য ভাষায় নারীর


অধিকার


তুমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের, শাণীত


ছুরির ধার


তুমি জয়নুল আবেদীন, এস এম সুলতানের রঙ


তুলীর আঁচড়


শহীদুল্লাহ কায়সার, মুনীর চৌধুরীর নতুন


দেখা সেই ভোর।


আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায়


ভালোবাসি,


জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায়


ভালোবাসি।


আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায়


ভালোবাসি


প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড়


বেশী ভালোবাসি।


তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর


জলে ভেজা কবিতায়


তুমি বাঙ্গালীর গর্ব, বাঙ্গালীর প্রেম


প্রথম ও শেষ ছোঁয়ায়,


তুমি বঙ্গবন্ধুর


রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন


তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার


স্বপন


তুমি একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে বেজে উঠ

সুমধুর,


তুমি রাগে অনুরাগে মুক্তি সংগ্রামের


সোনা ঝরা সেই রোদ্দুর


তুমি প্রতিটি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার


অভিমানের সংসার


তুমি ক্রন্দন, তুমি হাসি, তুমি জাগ্রত শহীদ


মিনার।


আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায়


ভালোবাসি,


জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায়


ভালোবাসি।


আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায়


ভালোবাসি


প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড়


বেশী ভালোবাসি।