শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

**** মায়াবী *****


**** মায়াবী *****


যদি রোদ ভালোলাগে !


------ তাকে দাও আলো

,
যদি চাঁদের রঙে আচ্ছন্ন হও


-----পড়াও তাকে কালো !

যত্ন করে ভালোবাসো ,


-----শব্দ করে নয়

,
তাকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলোনা,


-----দাবীর বিছানায়।


... সে যে ভীষণ অভিমানী,


-----মান ভাঙানো দায়সার।


সে মায়া, সে কায়া, মিথ্যে

-----এসব দিওনা নাম তার
 ,
তার সুধু হও আজ ভালবাসা,


-----হও তার আদরের চুম্বন

,
তুমি ভাবনা হয়ে ঘেরো তাকে ,


হও তার হৃদয়ের হৃদস্পন্দন...

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

এসো আবৃত্তি করি




কবিতার কথা নিখাদ মধু
সকলের মন ছুঁয়ে থাক শুধু
যেন নিতে পারে পাঠক সুবাস
ছুটি দিয়ে মাথা, এই অভিলাষ
ব্যকরণ নিক ছুটি ।

আজকে কবিতা, বাকী সব ছুটি
কবি ও পাঠক হয়ে এক জুটি
করে চলি খুনসুটি ।

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

রঙের খেলা / দীপক মান্না

রঙের খেলা / দীপক মান্না

সাঙ্গ হল রঙের খেলা,


রইল পড়ে ফিচকারি মেলা


মাতল সবাই রঙে রসে


এবার মুখে জালি ঘষে।


বাথরুমেতে লাইন দেবে


কেরোসিন সঙ্গে নেবে।


ঢালবে জল রাশি রাশি


লাগবে আবার হাঁচি কাশি


ঘষার চোটে ছেঁড়ে চাম,


রঙ তুলতে ছোটে ঘাম।


সাদ ভাতও খেলবে হোলি


সাবান দিয়ে যতই ডোলি


রঙিন কাপড় বাড়বে ঘরে


গরীব দুঃখী পাবে পরে।

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৩

পেঁয়াজ __________ মা'কে কোনদিন কাঁদতে দেখিনি ---মৌমিতা


পেঁয়াজ
__________

মৌমিতা

মা'কে কোনদিন কাঁদতে দেখিনি ---
ঝড় গুলো সব উলটপালট করে দিয়েছে যখন
তখনো মা সকালে গোল গোল রুটি গড়ছেন
গরম প্যানে হাত লাগলে ঈশশ করছেন !
সেবার যখন ছোটো মামা হারিয়ে গেলেন অমরনাথে ,
দেখি মা চুপ ...
দুপুরে খাবার সময় বুঝলাম তরকারীতে আজ
লবণ দিতে ভুলে গেছেন মা !
বড়দি যেদিন ফিরে এলো চার বছরের টিকলুকে নিয়ে
বাবার চোখে শ্যামাপোকা বাড়ি সাইলেন্স ভ্যালি
মা সেদিন রাতে তরকা করে খাইয়েছিলেন
সম্পর্ক গিলতে গিলতে দেখছিলাম
মা মাথা নিচু করে মৃদুস্বরে বলছেন 'পলাশ , আর একটু দেবো ' ,

ক'দিন আগে ছোট বোন পাশের বাড়ির
ছেলের সঙ্গে কাটল ...... মা চুপ , কথা নেই ,
মা রান্না ঘরে , আস্ত আস্ত পেঁয়াজ কাটছেন
চোখ দিয়ে জল ঝরছে ......
আমি লক্ষ্য করেছি অনেক দিন , ঝড় এলেই
মায়ের পেঁয়াজ কাটা বেড়ে যায় !
 

মৌমিতা'র কবিতা ভোটার লিস্টে নাম উঠেছিল তার



 মৌমিতা'র কবিতা 

ভোটার লিস্টে নাম উঠেছিল তার 
***********************
ভোটার লিস্টে নাম উঠেছিল তার ,
বীরভূমের যে নদীপথ ঘুমন্ত সুন্দরীর বেণী হয়েছিল ,
তার ডগায় ছিল ঘর ,
প্লাস্টিকের গামলা , মগ , 'হ'রেক মাল সাড়ে বারোটাকা'
ফেরী করে মাসে একবার কোপাই নামতো যখন
নাজুক অন্ধকারে , ঝোলাব্যাগে নেলপলিস , সিটিগোল্ডের চেন লাজুক
প্রেমে , গুটিপায়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যেত ছেলেটি ।

সময়ের দাবীপত্রে উজ্জ্বল যারা , প্রেমের নাম লিখে গেছেন
অদ্ভুত সব কামনীয় মত্ততায় , ছেলেটি নদীর পাশঘেঁসে
উড়ে যাওয়া পাখির ডানায় লেখে প্রেয়সীর ঠিকানা ,
যেখানে পৌঁছে দিতে চাই শ্রমে কিনে আনা শৌখিন শহর ,

তাকে বলতে পারেনি সেইযে সাইকেল , শহর পরিক্রমণ
' যা লেবে সাড়ে বারোটাকা'য় থাকে কোপাইয়ের মুখ !

কোপাই রেলস্টেশন সেদিন লাশ হয়ে গেল রাত্রে
ছেলেটি রক্তে সুয়ে থেকে দেখেছিল সিটিগোল্ডের চেন
অন্ধকার থেকে পুলিশের জিম্মা পর্যন্ত দীর্ঘশ্বাস বয়ে
কোন গলাকে চুমু খাচ্ছে হাব্লে -- এখনও ..

শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৩

রঞ্জন !.......তোমাকে/ জয়তি ভট্টাচার্য্য

 জয়তি ভট্টাচার্য্য
রঞ্জন !.......তোমাকে

কবিতা ? সে তো ভালবাসার স্মৃতির খঞ্জনি,
মনোবীণার ঝঙ্কারে কোন সুরের কানাকানি ।
শিথিল খোঁপায় জড়িয়ে রাখা যুঁথীর মালাখানি ,
মৃদুল-সুবাস-আভাস এসে বলবে তোমায় চিনি ।
ফুলের রাগে মিলবে যখন না বলা সেই বাণী ,
হৃদমাঝারে বাজবে সে কোন গোপন রাগিনী ।
কবিতা ? সে তো ভালবাসার স্মৃতির খঞ্জনি !
বিস্মৃত কি হতে পারে তোমার নন্দিনী ?

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৩

ছড়াক্কাঃ /মধুমিতা ভট্টাচার্য্য / ওসমান মাহমুদ../সুবীর বসাক../হিল্লোল রায় ../

ছড়াক্কাঃ ১১.

ওসমান মাহমুদ.. 

তোমার খোঁজে ডুব দিয়েছি জোছনাবনে


আকাশ হতে রোশনি ঝরে


জোনাক সেথায় শিল্প গড়ে


আলোর খেলা গাছের আড়ে


জোছনারূপা হৃদয় কাড়ে


লাজুকলতা মিশছো কী গো এদের সনে।



ছড়াক্কা ১২.

সুবীর বসাক..

নামকরা কবিরাজ বেচি আমি দাওয়াই,


জ্বর কিবা সর্দি,


বড়দা বা বড়দি,


যেই হোক- বটিকা


খেতে দিই ঝটিকা


হাত-পা বেঁধে হলেও জোর করে খাওয়াই।


ছড়াক্কা ১৩.

হিল্লোল রায় ..

টোকাটুকি করেই নাকি পাওয়া যায় ডিগ্রী-

বই পড়াটা ছেড়ে দিয়ে,


রাজনীতির দলে গিয়ে,


সুরাপান ও ঢলাঢলি,


গলে গলে গলাগলি,


ওরে কানু কোথায় গেলি? আয় না কেন শিগ্রী !!


ছড়াক্কা ১৪.
 
মধুমিতা ভট্টাচার্য্য 

রাত বিরেতে যাসনা মেয়ে ঘরের বাইরে ভুলে 


নেকড়ে পোশাক ঘুরছে লোকে,


হায়না শেয়াল ছিঁড়বে তোকে, 


দেবেনা কেউ হাত বাড়িয়ে 


চিল শকুনের দল তাড়িয়ে, 


থাক বসে তুই দরজা এঁটে লোহার শেকল তুলে। 

ছডাক্কা / ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ১৮.০৩.২০১৩ / রাত ১০.২৪


ছডাক্কা ৫
গোলাম নগরীতে ব্যাস্ত  কোলকাতা
সারি সারি লোক
ছুটছে সব লোক
মিছিলেতে লোক
ট্রামে বাসে লোক
রাতের শূন্যতাতে চুপ কোলকাতা 

ছডাক্কা ৬.

আজব দেশের আজব রাজা , আজব তাঁর সাজা
নস্যি নিয়ে গান শোনেন
দিনের বেলায় ঘুমিয়ে নেন 
রাতের বেলায় আসরে বসেন
গানের তালে মাথা নাডেন
গান যে না শোনেন  পান তাঁরা সব সাজা

ছডাক্কা ।৭
জামার রঙটা পালটা ভাই বাঁচতে যদি চাস
ওটাই আসল পরিচয়
নাহলে সব নয় ছয়
থাকবেনা কোন ভয়
নয় কে করবি হয়
বেকুব লোকগুলো  শোন বাঁচতে যদি চাস


ছডাক্কা ৮ 
লাল সবুজের দেশে ..যা তোরা সব মিসে  
থাকবি তোরা সুখে
জুটবে ভাত মুখে
কুলুপ আঁটবি মুখে
নইলে মরবি দুখে
সাদা কমলা শেষে .. আসবে নিশ্চই দেশে

ছডাক্কা ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ১৮.০৩.২০১৩ / রাত ১০.২৪


ছডাক্কা ১.
সকাল সকাল উঠে চলি পার্কের ধারে
রাস্তার কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে
লাঠি ধরে বলি ,  যা  আসবি পরে
তবুও যায়না খালি পিছু যে ধরে
লেজটা দুলিয়ে চলে পার্কের ধারে 
ভাবি নিশ্চই খায়নি বেটা কাল পেট ভরে
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ১৮.০৩.২০১৩ / রাত ১০.২৪
ছডাক্কা ২.
বাঁদরটা লাফদিয়ে বেরালছানা ধরে নিয়ে গেল
চিৎকার করে সবাই
ধর ধর মরেযাবে ভাই
বাঁদরটা লাফ দিল ওই
মা’ টা নাগাল পেলনা তাই
বেরাল ছানাটা কিন্তু আরেকটা ‘মা ‘ পেয়েগেল
ছডাক্কা ৩.
খুকি যাচ্ছিস কলেজে সাবধানে যাস
বাসে ট্রামে অটোতে
 যাস জেন শান্তিতে
থাকবি মুখ পুঁতে
পৌঁছবি শান্তিতে
ফিরে এলে বাডিতে নিস নিঃশ্বাস
 ছডাক্কা ৪.
আগুন লেগেছে বস্তিতে পুডেগেল  ঘর
জল জল কোরে ছোটে
বালতি নিয়ে হাতে
দমকল এলো দেরিতে
পুডে ছাই হোল তাতে
প্রোমটার মুখ টিপে হাঁসে পুডেজাগ ঘর 


রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৩

ফ্ল্যাগমার্চ / শর্মিষ্ঠা ঘোষ

ফ্ল্যাগমার্চ / শর্মিষ্ঠা ঘোষ 

দূর্বার ফ্ল্যাগমার্চে এগোচ্ছিলো সবুজ বসন্ত 


কল্লোলিনী তিলোত্তমার সিঁথিতে তখন পলাশ- শিমুল খেলা 


সমাপতনে সুইসাইডাল ঝাঁপ দিলো ফাল্গুন 


উড়ালপুল থেকে

সাক্সেস স্টোরি পোলট্রিমুরগির মত বাড়ছে 

মেটালিক দামামা মেট্রোচ্যানেল থেকে ধর্মতলায় 


নারসিসাস শিঙ্গা ফুঁকেছেন 


ওমনি পালপাল ভুঁইফোঁড় মূষি
 

রিলেরেস শুরু করলো পশুখামারের দিকে 

ঘরেঘরে জ্বলে উঠছে সুবিধেবাদি মোম ।

রবিবার, ৩ মার্চ, ২০১৩

ফাল্গুনী মুখার্জী (জন্মদিন উপলক্ষে)


ফাল্গুনী মুখার্জী (জন্মদিন উপলক্ষে)
মুখুজ্জে, আজ থেকে তুই ‘বাহাত্তুরে’
বলছে নাকি শত্তুরে ।
আমি বলি ভায়া, চালিয়ে যা
আরো কবছর নতুন জুতোয়
পা দুটো তোর গলিয়ে যা ,
শমন যদি আসে, বলিস হেসে
ব্যস্ত আছি , এখন বাপু
পালিয়ে যা ।