বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৩

চক্ষু চড়কগাছে ! দেবাশিষ লাহা ।


চক্ষু চড়কগাছে ! 

হঠাৎ সেদিন একটা মেয়ে
বোধ বুদ্ধির মাথা খেয়ে
অলীক মেঘের ছদ্মবেশে
হাওয়ার মত ছুটে এসে
উঠোন জুড়ে তুললো ঝড়
বললো আমার বউ হবে
আমি হবো ওর বর !

"এখন থেকে তুমি আমার
আমার ভিটে, খেত খামার
বাকি সবাই ফালতু চামার
ওদের ব্লক করো !
এখন থেকে আমার জন্য
বাঁচো কিম্বা মরো ! "

চক্ষু আমার চড়কগাছ !
আমি মানুষ, নাকি মাছ !
কিলো দরে নিচ্ছো কিনে !
আমার অনুমতি বিনে !

মেয়ে নয় তুই কাকাতুয়া !
ঠোঁট দিয়ে খুঁড়িস কুয়া !
সব কিছুই তোর তো ভুয়া !
শোন লক্ষ্মী ছাড়ি !
আমি কি তোর বিড়াল ছানা?
নতুন পিচকারি !

বলি এসব হচ্ছে টা কি ?
পাগলি তোর ইচ্ছেটা কি?
নিজের দিকে দেখ !
বুকের ভেতর চুপিচুপি
কাঁদছে হৃদয় এক !

ছবি দেখে ভালবাসা !
একি প্রেম সর্বনাশা!
আমায় কি তুই চিনিস ?
আমিও কি জানি বল
তুই বা কি জিনিষ ?

কবিতা সুজন ভট্টাচার্য




কবিতা

উড়ছিল চুল বৃন্তে তোমার
কুয়াশা- ভাসানো যামিনী
রাস্তার মোড়ে টুকিটাকি ভিড়ে 
তবুও সেদিন থামি নি ।

কালবোশেখীর হাতছানি ছিল
বুকের রক্তে নিকোনো
হাল ফ্যাশানের বুলবুলি যত
মদির স্বপ্নে বিকোনো ।

হাত ছেড়ে দিলে রাস্তা অসীম
মিছিল স্লোগানে স্লোগান
দরজায় ভাঙে রোদ্দুর কারা
জীবনে বাড়তি যোগান ।

চিনল নিশান হাতের ঠিকানা
ফুটপাথে হাঁটা কাব্য
টালমাটালের ময়দান চিনে
জীবন - দরিয়া নাব্য ।

তারপরে শেষ পথের কবিতা
পায়ের শিকড়ে ক্লান্তি
উঠোন- সাঁতার ভাতঘুমে ডাকে
চিরকেলে চেনা শান্তি ।

এইখানে শেষ, টেনে দিলে দাঁড়ি
কবিতার ধোঁয়া ধুনুচি
তবু যেন কারা গান গায় মাঠে
কানেকানে তাও শুনছি ।

ঘুম পেয়ে গেলে নাহয় ঘুমোবো
থাক জেগে শুধু কবিতা
জানলার কাচে শব্দ -আখরে
নিমেষ প্রাণের সবিতা ।

......... সুজন ভট্টাচার্য

শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৩

মোহিনী, বন্ধু আমার /সুরজিত

মোহিনী, বন্ধু আমার

প্রত্যাশার রঙীন চাঁদরে মুড়িয়েছি,
আমার স্বপ্ন-সাধ, তোমাতেই করব সমর্পণ।
ওগো মোহিনী, বন্ধু আমার, 
ঢের বেশী চায় যে, এই জীবন-মন।
বৃন্দাবনী গানে-হাসি-কলতানে,
প্রস্ফুটিত হও রাধার মত, আমি হবো শ্যাম।

কখনও মধুর বোলে, কখনওবা তামাশাচ্ছলে,
প্রগাঢ় মোহাচ্ছন্নতায়, বেসেছি তোমারেই ভাল
কালান্তরে, যুগ-যুগান্তরে। স্মৃতির গহনতলে,
করে অবগাহন, জাতিস্মরতার মহিমায়,
বুঝে নাও অনুভবে, তুমিই শিরি, লায়লা, রজকিনী
ভিন্নতর পারিপ্বার্শ্বিকতায়, সময়ের ভিন্নতায়।
বৃন্দাবনী গানে-হাসি-কলতানে,
প্রস্ফুটিত হও রাধার মত, আমি হবো শ্যাম।


ওগো মোহিনী, বন্ধু আমার, এসো জীবনের
স্পন্দনে হই স্পন্দিত, একীভূত নেশায়,
গভীর ভালবাসায়। এসো জোছনার স্নিগ্ধতায়,
স্বপ্ন-সাধের মখমলে, নতুন সত্তায় হই আবিস্কৃত।

~~~~~~সুরজিত~~~~~~
স্থানঃআখাউড়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বাংলাদেশ।
তারিখঃ০৯/১১/২০১৩খ্রিঃ,সময়ঃসকাল১১।০০টা।

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৩

দোলনচাঁপা ধর / উপলব্ধি /


দোলনচাঁপা ধর 
উপলব্ধি
======
ট্রেনটা সাত ঘণ্টা দেরিতে চলছিল,তবে
এবার দায়ী স্বয়ং প্রকৃতি, পিলিন
ভেতরে হাঁসফাঁস কাণ্ড ,জল নেই,শৌচাগার
নরককুণ্ড,তবু সেই আড়ালটুকুই যা সম্বল।
হাসিখুশি সহযাত্রীরা সব বদলে গেছে,
পরিস্থিতি বড় দায়, ঝগড়া,কথা কাটাকাটি।
যাত্রার শুরুতে যে ছেলেটি মুগ্ধ হয়েছিল
তার সমবয়সী সহযাত্রিণীর নিভৃত চাহনিতে
সে এখন খুঁজে চলেছে এক বোতল জল।
বয়স্ক যাত্রীদের আক্ষেপ,"এমন জানলে কি..."
পাশের বগি থেকে ভেসে আসে"হিচিক পিচিক"
সত্য সেলুকাস,আর তখনি দেখলাম তাকে
জানালার বাইরে আমারই জন্য যেন দাঁড়িয়ে।
আগেও তো কতবার দেখেছি,এভাবে নয়,
কত তুচ্ছ করেছি,অথবা সেটুকুও করিনি
আজ এই দুর্বিপাকে সে যেন আমার কত চেনা,
সবুজ গালিচায় মুক্তো হয়ে ফুটে আছে সে ,
আমার চেতনায় যে এই মুহূর্তে হল অপরূপ।
কতদিনের পুরনো এক প্রশ্নের জবাব পেলাম,
কেন পান্না সবুজ হয় আমার চেতনায়,আর
আজ মুক্তো হল ওই সাদা তেলাকুচো ফুল।

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৩

মান্না দে – পথ চলা

মান্না দে  – পথ চলা

পিতৃদত্ত নাম - প্রবোধ চন্দ্র দে

জন্ম  ১লা মে ১৯২০ কলকাতায়

১৯৩৭  মঞ্চে প্রথম সঙ্গীত পরিবেশন। স্কটিশ চার্চ কলেজে
           বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতি যোগিতায় । আধুনিক গান ছাড়া সব বিভাগে
           প্রথ স্থান দখল । হাতে কলমে সঙ্গীত চর্চা শুরু কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দের কাছে ।

১৯৩৯ ওস্তাদ দবীর খাএর কাছে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু ।

১৯৪০ সুরকার হিসাবে প্রথম আত্ম প্রকাশ । সুপ্রীতি ঘোষের কন্ঠে
        তাঁর সুরারোপিত প্রথম গানের রেকর্ড ।

১৯৪২ কৃষ্ণ চব্দ্র দের সহকারী সঙ্গীত পরিচালক রূপে হিন্দি চিত্র জগতে প্রবেশ ।

১৯৪৩ সুরাইয়ার সঙ্গে দ্বৈত কন্ঠে প্রথম প্লে ব্যাক তমান্না’ ছায়াছবিতে ।

১৯৫৩ (১৮ ডিসেম্বর শ্রীমতী সুলোচনা কুমারনএর সঙ্গে বিবাহ

১৯৫৬ (১৯ অক্টবরজ্যেষ্ঠ কন্যা সুরমার জন্ম

১৯৫৮ (২০ জুনকনিষ্ঠ কন্যা সুস্মিতার জন্ম

১৯৭১ পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত

১৯৮৫ মধ্য প্রদেশ সরকার কর্তৃক লতা মঙ্গেশকর পুরস্কারএ সম্মানিত

১৯৮৮ রেনেসাঁ সাংস্কৃতিক পরিষদ’ ঢাকা প্রদত্ত মাইকেল সাহিত্য পুরস্কারএ সম্মানিত ।

২০০৩  পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত আলাউদ্দীন খান’ পুরস্কার 

২০০৪  রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সান্মানিক ডিলিট উপাধি

২০০৫ পদ্মভূষণ সম্মান

২০০৭         দাদাসাহেব ফালকে সম্মান

২০০৮  সান্মানিক ডিলিট উপাধি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত

২০১১  পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত বঙ্গ বিভূষণ সম্মান

২০১১ ফিলম ফেয়ার প্রদত্ত সারা জীবনের স্বীকৃতি’ সম্মান ।

২০১২ (১৮ই জানুয়ারিস্ত্রী সুলোচনার মৃত্যু

আমি যে গান গেয়েছিলেম ...

বাংলা  -  ১২৬২টি গান ছায়া ছবিতে ৬১১গ্রামফোন রেকর্ড ৩৫৬টি
                রবীন্দ্র সঙ্গীত ৪৬দ্বিজেন্দ্র গীতি ৮৪,শ্যামা সঙ্গীত ২৩
                আকাশবাণীর স্টুদিও রেকর্ড ২৩অপ্রকাশিত ছায়াহবির গান ১০৩টিভি 

সিরিয়াল ৩অন্যান্য গান ৩৩

অন্যন্য ভারতীয় ভাষায় ছায়াছবির গান 

ভোজপুরি  ৩৫মগধি  ২মৈথিলী  ১

পাঞ্জাবী  ছায়াছবি ১৩অন্যান্য 

অসমিয়া  ছায়াছবি ২অন্যান্য 

ওড়িয়া  ৭কোঙ্কনি সিন্ধি ১

গুজরাটি  ৮৫মারাঠী ছায়াছবি  ৫৫,অন্যান্য  ১৫

কানাড়া  ৫

নেপালি  ১

এবং হরিবংশ রাই বচ্চনএর কাব্যগীতি সংকলন মধুশালা