মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

ভোঁট / রাহুল রায়চৌধুরী



    ** ভোঁট ** কবিতাটা আমি Kali Kolom o Easel পত্রিকাকে দিয়েছিলাম । হয়ত প্রকাশিত হয়েছিল, হয়ত হয়নি, সঠিকভাবে বলতে পারব না । তবে পত্রিকার তরফে একটা 'লেখক সূচি' ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল, যেখানে নিজেকে খুঁজে পেতে অসুবিধা হয় নি, তবে লেখক কপি না পাওয়ার কারণে সঠিক তথ্য দিতে পারলাম না । যাক, এত কথায় কী কাজ ? কবিতাটা আজ প্রথম আপনাদের পড়তে দিচ্ছি । আরও একটু বলে নিই । দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ যে ভাষায় কথা বলে, ঠিক সেই ভাষাতেই লেখা হয়েছে কবিতাটি ...
ভোঁট
রাহুল রায়চৌধুরী
মা রে ... মা ! চ যাই, ভোঁট দি’আসি _______
দ্যাক্‌ মা, দ্যাক্‌ ! পাকা আস্তার মোড়ে, ভোঁটবাবুগুনো ক্যামোন চিল্লোচ্ছে
এবার জিতলি চাল, গোম, তেল ... সব দেবে বোল্‌চে
একদোম ফিরি, পয়সা নাগ্‌বে না ।
চ না মা, যাই । ভোঁট দি’আসি ______
... হাঁসপাতালি ওষুধ দেবে ।
সব আস্তা পাকা করে দেবে । গেরামে নাইট জ্বোলবে ।
ঘরের কচিমেয়েগুনো ফের ইস্কুলি যেতি পা’বে । পড়তি পা’বে ।
মেয়েছেলেরা ক্ষেতে-খামারে ফের কাজ কত্তি পা’বে । ঘরে চুলো জ্বোলবে ...
কতোদিন হয়ে গ্যালো মা, পেট পুরে খেতি পাইনি ... তুই বল !
ফের খেতি পাবো ...
চ না মা, যাই । ভোঁট দি’আসি _______
গ্যালোবার
বাগ্‌দি পাড়ার দুগ্‌গাকে উই্‌টে নে’ গ্যালো !
ইজ্জত নিলো । জানে মেরেও দিলো ।
পাটক্ষেতে ওর শরীলটা মিললো পরের দিন সোকালবেলা ।
উফ্‌ ! সে কী অক্ত গো মা, তেইকে দ্যাকা যায় না ।
গোলায়, বুকিতেনে নোক্‌ আর দাঁতের দাগ
মাইদুটো খুব্‌লে খ্যায়াচে শয়তানগুনো !
শরিল্‌টা পুলিশি নে’ গ্যালো । কাটা-ছেঁড়া কোরলো ।
একদিন পরে, ফিইরে দে’ গ্যালো । কিন্তু কাউকে ধল্লুনি, বা কিচ্ছুটি কল্লুনি !
ইবার ভোঁটবাবুরা বোল্‌চে, আর ওসব হতি দেবে না ।
তোর ক্যানো বিশ্বেস হয় না মা ?
দেক্‌বি চ ... একোনো ওরা মাইকে হাঁক্‌চে ।
চ না মা, যাই ! ভোঁট দি’আসি _______
আরও একবার বিশ্বেস করি ! জিইতে দি ।
ওদের জন্যি ‘দধীচি’ হই ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন