হেস্তনেস্ত / শর্মিষ্ঠা ঘোষ
আজ একটা হেস্তনেস্ত করবোই করবো
রাশিয়ান রুলেট খেলবো ছায়ায় সাথে
ওর বড্ড বেড়েছে বাড়
ইতিউতি উঁকি মারে বিশ্বাসবিদগ্ধ মাস
শূন্যতা গোল্লা পাকাতে পাকাতে নেমেছে কণ্ঠনালিতে
প্রণাম ছুঁয়েছে সরে যাওয়া ধুলোবালি
অন্তরিন ছায়ারা অন্যের পাশাপাশি আহ্লাদে হাঁটে
চোখথেকে খুলে নেব চক্ষুলজ্জা
লড়ঝড়ে প্রতিশ্রুতি ঝাঁপবন্ধ পড়ে আছে
ঠ্যাং ভাঙবো হাত নাড়লে আর চোখ মারলে ফের
এই দ্যাখ উদ্যত সঙ্গিন
বরাভয় ভেবে বসিস না আবার
আসলে এমনটাই হয় বরাবর
ভীষণ রেগে উঠতে গিয়ে কারুর প্রেমে পড়ে যাই
কবিতাগুচ্ছ - বাংলা কবিতার ই-পত্রিকা কবিতা হৃদয়ের স্পন্দন , কিছু চাওয়া পাওয়ার অভিব্যক্তি্ ,মানুষের কল্পনাকে কাগাজে তুলে ধরা নানাচিত্র । তাতে কল্পনা বাস্তব দুটর ই সম্মিশ্রন থাকে । থাকে কিছু অনুভুতি ,প্রেরনা আর অবসাদ । কবিতাগুচ্ছ সেই রকম কিছু মানুষের সন্ধানে যারা ভালবাসেন নিজের ভাষা ,মাতৃভূমি এবং বাংলার কবিদের যারা বাঙ্গলা ভাষা সমৃদ্ধ করতে আপ্রান সংগ্রাম করেছেন । ... ...
সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
সমুদ্র তটে দেখি নীল দিগ্বলয়
সমুদ্র তটে দেখি নীল দিগ্বলয়
আলডোন করে মন ঊর্মি মালায় ।
অস্তগামী সূর্য রক্তিম আভা
গোধূলি বেলায় যেন রক্তিম লাভা ।
পুলক আনে মনে শিহরিয়া যায়
বালুকা তটে মন জুডায়ে যায় ।
একাকিনী নই আমি মহোদধি সাথে
নৃত্যের তাল জাগে রক্তিম আভাতে ।
সুমধুর সঙ্গীত মূর্ছনা করে
হিল্লোলিত পরান মোর পুলকিত করে ।
দখিনা পবনে মোর শিহরন লাগে
স্মৃতির মন্থনে মন অবশ লাগে ।
জানিনা এ মন কার পরশ খোঁজে
তুমি যেন আছ মোর পরান মাঝে ।
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী
আলডোন করে মন ঊর্মি মালায় ।
অস্তগামী সূর্য রক্তিম আভা
গোধূলি বেলায় যেন রক্তিম লাভা ।
পুলক আনে মনে শিহরিয়া যায়
বালুকা তটে মন জুডায়ে যায় ।
একাকিনী নই আমি মহোদধি সাথে
নৃত্যের তাল জাগে রক্তিম আভাতে ।
সুমধুর সঙ্গীত মূর্ছনা করে
হিল্লোলিত পরান মোর পুলকিত করে ।
দখিনা পবনে মোর শিহরন লাগে
স্মৃতির মন্থনে মন অবশ লাগে ।
জানিনা এ মন কার পরশ খোঁজে
তুমি যেন আছ মোর পরান মাঝে ।
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী
ভাষা দিবষ উপলক্ষে/ মৌসুমি বিশ্বাস
২১ শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে
আমি বাংলার রক্তেমাখা মাটির ছেলে
আমি বাংলার সন্তান,
আমি জন্মেছি বাংলার বুকে
বাংলাই আমার 'মা' ।
চির কল্যাণ এই বুকের মাঝে
যে জন দিয়েছে প্রাণ
শুধু বাংলার মাটির জন্য,
সেই আমার আপন প্রিয়জন ।
যে কৃষক আপন মহিমায়
শস্যে ফলায় দিনে রাতে,
সেই আমার অমরত্ন জীবনদাতা,
দিয়েছে আমার প্রাণ ।
যে নদীর জলে নৌকা চলে পাল তৌলে
জেলে যায় মত্স্য যাত্রাতে,
আমি সেই নদীর জলে স্নান করে,
জীবনের দুঃখ গ্লানি মুঁছে ফেলি ।
যে বাংলায় রাতের প্রহরে
চাঁদ তাঁরায় খেলে লুকোচুরি,
যে বাংলায় কাঁথা বুঁনে
সারা জোছনা রাতের আলোতে ।
আমি সেই বাংলার মাঝে
হাওয়ায় হাওয়ায় ঘুরে বেড়াই
প্রতিটি মাটির ধূলিকণার ছোঁয়াতে ।
বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
"একুশের বাংলা বাঙালির একুশ!"
আমি বাংলায় গান গাই,আমি বাংলার গান গাই
আমি আমার আমিকে চিরদিন-এই বাংলায় খুঁজে পাই
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়া ভরা পথে, হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রাণের সুখ
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ॥
আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখেশুনে খেপে গিয়ে-করি বাংলায় চিৎকার
বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান, ক্ষিপ্ত তীর ধনুক
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ॥
আমি বাংলায় ভালোবাসি, আমি বাংলাকে ভালোবাসি
আমি তারই হাত ধরে সারা পৃথিবীর-মানুষের কাছে আসি
আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়
মিশে তেরো নদী, সাত সাগরের জল গঙ্গায়-পদ্মায়
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল, তৃপ্ত শেষ চুমুক
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ॥
——————-
প্রতুল মুখোপাধ্যায়
শয়নে স্বপনে ভাবি যে তোমারে
তুমি থাক মোর সদা চিন্তনে
তোমা বিনা কোন ভাষা না আসে মনে
তুমি থাক মোর হৃদয় পরানে
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী
|| ২১ এর গান ||
আজ হোক সুপ্রভাত
আজ শুধু ‘বাংলা’ হোক ভাষা
শান্তি পাক শহিদেরা
আজ শুধু এ’টুকু প্রত্যাশা ।
এ’মাটি দিল যে সুর
এ আকাশ দিয়েছে যে গান
আজ শুধু বেঁচে থাকা
বুকে নিয়ে সেই সম্মান ।
আজ শুধু জেনে নেওয়া
মাতৃভাষা কত মধুময়
আজ শপথের দিন
বাংলা হোক অমর অক্ষয় ।
- শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাগুন আগুন জ্বলছে প্রাণে/ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ২০.০২.২০১৩ / বিকেল ০৪.৪১
ফাগুন আগুন জ্বলছে প্রাণে
ফাগুন আগুন জ্বলছে প্রাণে
পূর্ণ হৃদয় পুণ্য স্নানে
উদাষ মেঘের উদাষ হাওয়া
মেঘের পরশ দখিন হাওয়া
মনের কথা মনেই রাখি
দুচোখ ভরে তোমায় দেখি
প্রেমের পরশ মাতাল করে
তোমায় বড্ড মনে পডে
ফাগুন আগুন জ্বলছে প্রাণে
পূর্ণ হৃদয় পুণ্য স্নানে
চাইনা ফিরে চাইনা জেতে
মন মেতেছে তোমার সাথে
মনের কথা মনেই রাখি
দুচোখ ভরে তোমায় দেখি
প্রেমের পরশ বিবশ করে
তোমায় নেব সঙ্গে করে।
.
ফাগুন আগুন জ্বলছে প্রাণে
পূর্ণ হৃদয় পুণ্য স্নানে
উদাষ মেঘের উদাষ হাওয়া
মেঘের পরশ দখিন হাওয়া
মনের কথা মনেই রাখি
দুচোখ ভরে তোমায় দেখি
প্রেমের পরশ মাতাল করে
তোমায় বড্ড মনে পডে
ফাগুন আগুন জ্বলছে প্রাণে
পূর্ণ হৃদয় পুণ্য স্নানে
চাইনা ফিরে চাইনা জেতে
মন মেতেছে তোমার সাথে
মনের কথা মনেই রাখি
দুচোখ ভরে তোমায় দেখি
প্রেমের পরশ বিবশ করে
তোমায় নেব সঙ্গে করে।
.
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী / ২০.০২.২০১৩ / বিকেল ০৪.৪১
কবিতা বিচার /সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
কবিতা বিচার
***********
পাড়ার কবি ক্ষেপা ভজন এসে,
বললে-"দাদা,করো না উপকার!
লিখেছি যে কবিতা অনেকগুলো,
পড়বে কে তা ? লোক মেলা যে ভার।
যার কাছে যাই,সেই বলে- 'শোন ভজা,
আমার এখন বড়ই কাজের চাপ,
সময় করে আসিস বাপু পরে,
আজকে আমায় করতে হবে মাপ।'
টাটকা,তাজা কবিতাগুলো শুধুই
পড়ে থেকে হচ্ছে কেবল বাসি,
সবাই কি আর বাসি মড়া ঘাঁটে?
তাই ভাবলাম,তোমার কাছেই আসি।
জানলা দিয়ে দেখি,তুমি বসে-
খাতা খুলে,চক্ষু বুঁজে ভাবো,
ওতেই হবে,এর বেশী কি চাই!
তোমায় ছেড়ে কার কাছে আর যাবো ?
ঘুম ভাঙতেই আজকে সকাল বেলা-
ইচ্ছে হলো,শব্দ নিয়ে খেলি,
অভিধানের শব্দ বেছে নিয়ে,
মনের সুখে খেলেছি যে হোলি।
পড়তে হবে তোমায় দিয়ে মন!
বলতে হবে, মন্দ,না কি খাসা!
কানা ডোমের বাঁশবন ই যে বাগান,
তাই তো দাদা,তোমার কাছে আসা।"
খাতা খুলে চক্ষু আমার স্থির,
খটমট শব্দ সারি সারি,
অর্থ তবু যদিও করা চলে,
কবিতা কি তায় বলতে পারি ?
গোটা গোটা অক্ষরেতে ভজন
যা লিখেছে,পড়ছি সবাই শোনো,
হুবহু ওর লেখা দিলাম তুলে,
যোগ করি নি কিছুই আমি জেনো।
"শাখোট শাখায় শাঙল শাখামৃগ
স্মের বদনে শকর-কন্দ খায়,
উড়ুম্বরে উটক্করা বায়স
উড্ডীয়মান শলভ পানে চায়।
সহকারের মূলে শতমূলা-
শতপদী মণ্ডলী কিলবিল,
শল্লকী ধায় বল্মীকের স্তুপে,
সরট ঠোঁটে ঘূর্ণায়মান চিল।
মগরা শুন এক মহাশঙ্খ লয়ে
ক্রীড়ারত,গোধার পরে দিঠি,
কোবিদারে দ্বিরেফ নাড়ে পাখা,
ফুলে ফুলে পরাগ মিলন চিঠি।
তড়াগে টান অম্লজানের,ভাসে
চিত্রফলক,রোহিত,শকুল,বদাল,
শ্যামাক ক্ষেত্রে তৃণাদ গলস্তনী,
হাল তবিয়ত- 'হজম হামেহাল'।
বসন্ত শেষ,নিদাঘ আগুয়ানে-
দর্দুর দল,দাত্যূহ অস্থির,
ঢোসকা,ঢ্যাঙা,ঢেমনা চেরা জিভে
বাতাস কাটে,উচ্চে দোলায় শির।
কুণ্ডলাকার কিঞ্চুলুক মাটি,
পলাণ্ডু চাষ,মাচানে রাজফল,
যামিনীতে যামঘোষেরা কাঁদে,
শিকার শিকায়,ক্ষুধায় হীনবল।"
মুচকি হেসে বলতে হলো-"ভজন,
কবিতা তোর সরেস মিহিদানা,
কণায় কণায় রসের ছড়াছড়ি,
শুরু থেকে শেষ অবধি টানা।"
(মন্দ বলার উপায় কি আর আছে ?
কবি মানেই ছিটেল,অভিমানী,
মন্দ কেন বললে,তখন বোঝাও,
কি দায় আমার !! ব্যাখ্যা দেবো,শুনি?)
খুশীর তোড়ে,না কি বেজার স্বরে,
বললো ভজন-"ঠিক ধরেছি আমি,
বুজরুকেরা জাঁকিয়ে বসে আছে,
তারাই তো আজ কবি! যেমন-'তুমি'।
মনের কথা লিখব সহজ করে,
যুগ আধুনিক,হবে না কবিতা ?
ঘাটতি মেধার,কায়দা দিয়ে ঢাকা,
কত না ছক,কত না ভণিতা!!!
ছিটেল ভজন হোক না আধা-পাগল,
কথাটি ওর মিথ্যে মোটেই নয়,
ভেজাল যুগে আসল মেলা কঠিন,
'কবি কারা ?'- তাই নিয়ে সংশয়।
দুরূহ সব শব্দ জোড়া দিয়ে-
লিখছে যারা,দিচ্ছে যুগের দোহাই,
হোক না যতই স্ব-ঘোষিত কবি,
পাঠক মনে নেই তাহাদের ঠাঁই।
*************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
*************************
***********
পাড়ার কবি ক্ষেপা ভজন এসে,
বললে-"দাদা,করো না উপকার!
লিখেছি যে কবিতা অনেকগুলো,
পড়বে কে তা ? লোক মেলা যে ভার।
যার কাছে যাই,সেই বলে- 'শোন ভজা,
আমার এখন বড়ই কাজের চাপ,
সময় করে আসিস বাপু পরে,
আজকে আমায় করতে হবে মাপ।'
টাটকা,তাজা কবিতাগুলো শুধুই
পড়ে থেকে হচ্ছে কেবল বাসি,
সবাই কি আর বাসি মড়া ঘাঁটে?
তাই ভাবলাম,তোমার কাছেই আসি।
জানলা দিয়ে দেখি,তুমি বসে-
খাতা খুলে,চক্ষু বুঁজে ভাবো,
ওতেই হবে,এর বেশী কি চাই!
তোমায় ছেড়ে কার কাছে আর যাবো ?
ঘুম ভাঙতেই আজকে সকাল বেলা-
ইচ্ছে হলো,শব্দ নিয়ে খেলি,
অভিধানের শব্দ বেছে নিয়ে,
মনের সুখে খেলেছি যে হোলি।
পড়তে হবে তোমায় দিয়ে মন!
বলতে হবে, মন্দ,না কি খাসা!
কানা ডোমের বাঁশবন ই যে বাগান,
তাই তো দাদা,তোমার কাছে আসা।"
খাতা খুলে চক্ষু আমার স্থির,
খটমট শব্দ সারি সারি,
অর্থ তবু যদিও করা চলে,
কবিতা কি তায় বলতে পারি ?
গোটা গোটা অক্ষরেতে ভজন
যা লিখেছে,পড়ছি সবাই শোনো,
হুবহু ওর লেখা দিলাম তুলে,
যোগ করি নি কিছুই আমি জেনো।
"শাখোট শাখায় শাঙল শাখামৃগ
স্মের বদনে শকর-কন্দ খায়,
উড়ুম্বরে উটক্করা বায়স
উড্ডীয়মান শলভ পানে চায়।
সহকারের মূলে শতমূলা-
শতপদী মণ্ডলী কিলবিল,
শল্লকী ধায় বল্মীকের স্তুপে,
সরট ঠোঁটে ঘূর্ণায়মান চিল।
মগরা শুন এক মহাশঙ্খ লয়ে
ক্রীড়ারত,গোধার পরে দিঠি,
কোবিদারে দ্বিরেফ নাড়ে পাখা,
ফুলে ফুলে পরাগ মিলন চিঠি।
তড়াগে টান অম্লজানের,ভাসে
চিত্রফলক,রোহিত,শকুল,বদাল,
শ্যামাক ক্ষেত্রে তৃণাদ গলস্তনী,
হাল তবিয়ত- 'হজম হামেহাল'।
বসন্ত শেষ,নিদাঘ আগুয়ানে-
দর্দুর দল,দাত্যূহ অস্থির,
ঢোসকা,ঢ্যাঙা,ঢেমনা চেরা জিভে
বাতাস কাটে,উচ্চে দোলায় শির।
কুণ্ডলাকার কিঞ্চুলুক মাটি,
পলাণ্ডু চাষ,মাচানে রাজফল,
যামিনীতে যামঘোষেরা কাঁদে,
শিকার শিকায়,ক্ষুধায় হীনবল।"
মুচকি হেসে বলতে হলো-"ভজন,
কবিতা তোর সরেস মিহিদানা,
কণায় কণায় রসের ছড়াছড়ি,
শুরু থেকে শেষ অবধি টানা।"
(মন্দ বলার উপায় কি আর আছে ?
কবি মানেই ছিটেল,অভিমানী,
মন্দ কেন বললে,তখন বোঝাও,
কি দায় আমার !! ব্যাখ্যা দেবো,শুনি?)
খুশীর তোড়ে,না কি বেজার স্বরে,
বললো ভজন-"ঠিক ধরেছি আমি,
বুজরুকেরা জাঁকিয়ে বসে আছে,
তারাই তো আজ কবি! যেমন-'তুমি'।
মনের কথা লিখব সহজ করে,
যুগ আধুনিক,হবে না কবিতা ?
ঘাটতি মেধার,কায়দা দিয়ে ঢাকা,
কত না ছক,কত না ভণিতা!!!
ছিটেল ভজন হোক না আধা-পাগল,
কথাটি ওর মিথ্যে মোটেই নয়,
ভেজাল যুগে আসল মেলা কঠিন,
'কবি কারা ?'- তাই নিয়ে সংশয়।
দুরূহ সব শব্দ জোড়া দিয়ে-
লিখছে যারা,দিচ্ছে যুগের দোহাই,
হোক না যতই স্ব-ঘোষিত কবি,
পাঠক মনে নেই তাহাদের ঠাঁই।
*************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
*************************
মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
আজ ফাগুনের খুনসুটিতে - শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ ফাগুনের খুনসুটিতে
অরুণ বন বনান্তর
ডাক দিয়েছে শিমুল পলাশ
থাকুক, পড়ে থাকুক ঘর
আজ ফাগুনের.........
আজ আকাশে আবীর ঋতু
সাতটি রঙের স্বয়ম্বর
শালিখ নাচে তা-থৈ তা-থৈ
থাকুক, পড়ে থাকুক ঘর
আজ ফাগুনের.........
আজ ডেকেছে বাঁশির সুরে
দখিন পবন, নদীর চর
মন মেতেছে সেই সোহাগে
থাকুক, পড়ে থাকুক ঘর
আজ ফাগুনের.........
- শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
অরুণ বন বনান্তর
ডাক দিয়েছে শিমুল পলাশ
থাকুক, পড়ে থাকুক ঘর
আজ ফাগুনের.........
আজ আকাশে আবীর ঋতু
সাতটি রঙের স্বয়ম্বর
শালিখ নাচে তা-থৈ তা-থৈ
থাকুক, পড়ে থাকুক ঘর
আজ ফাগুনের.........
আজ ডেকেছে বাঁশির সুরে
দখিন পবন, নদীর চর
মন মেতেছে সেই সোহাগে
থাকুক, পড়ে থাকুক ঘর
আজ ফাগুনের.........
- শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
প্রেম দিবস/ সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
প্রেম দিবস
********
প্রেম দিবসে পেট খারাপের ধাওয়া-
স্থগিত হ'লো রেস্তোঁরাতে যাওয়া।
ইচ্ছৈ ছিল আনব কিনে ফুল,
অফিস ফেরত সে টাও হলো ভুল।
তাই বলে কি প্রেম হবে না কোনো ?
তোমরা প্রেমের কতটুকু জানো ?
খাচ্ছি বসে গরম চা আর মুড়ি-
ব্যালকনিতে বুড়ো এবং বুড়ি !!!
কেউ কোথা নেই,শুধুই মোরা দু' জন,
স্বপ্ন নীড়ে মুক্ত পাখীর কূজন।
বইছে এমন ভালবাসার হাওয়া..
.
বৃথা তবে বাইরে কেন যাওয়া ?
অন্তরেতে থাকতে খাঁটি মধু,
দেখনদারি খরচা শুধু শুধু !!!
প্রেম আমাদের তপ্ত খাঁটি সোনা,
উপহারে তা কে কি যায় কেনা ?
***********************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
************************
********
প্রেম দিবসে পেট খারাপের ধাওয়া-
স্থগিত হ'লো রেস্তোঁরাতে যাওয়া।
ইচ্ছৈ ছিল আনব কিনে ফুল,
অফিস ফেরত সে টাও হলো ভুল।
তাই বলে কি প্রেম হবে না কোনো ?
তোমরা প্রেমের কতটুকু জানো ?
খাচ্ছি বসে গরম চা আর মুড়ি-
ব্যালকনিতে বুড়ো এবং বুড়ি !!!
কেউ কোথা নেই,শুধুই মোরা দু' জন,
স্বপ্ন নীড়ে মুক্ত পাখীর কূজন।
বইছে এমন ভালবাসার হাওয়া..
.
বৃথা তবে বাইরে কেন যাওয়া ?
অন্তরেতে থাকতে খাঁটি মধু,
দেখনদারি খরচা শুধু শুধু !!!
প্রেম আমাদের তপ্ত খাঁটি সোনা,
উপহারে তা কে কি যায় কেনা ?
***********************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
************************
স্বপ্নের ভালেন্তাইন / অশোক কুমার গাঙ্গুলী
*** স্বপ্নের ভালেন্তাইন ****
নোনা জলে ভাসে সুখের অসুখ,
সামনে কতো রঙ্গিন গোলাপের সারি ,
দেখেছি ফেসবুক থেকে অর্কুট ,
কিন্তু দেখিনিও খুলে তোমার চিরকুট,
ক্ষমা করে দিও মিনতি আমার,
আজি খোলা মোর উন্মুক্ত দুয়ার,
শুন্য এ বুকে , আজ বসন্ত এ দিনে ,
কে বাঁচে ভুলে যৌবন বিনে ,
... স্বপনই আমায় আজও বাঁচিএ চলে,
সে হোক রাত্রি কিম্বা দিন ,
যেথাই আছো তুমি সুখেই থেকো ,
আমার স্বপ্নের ভালেন্তাইন ............
হ্যাপি ভালেন্তাইন ডে ............ :)))
সময়ের হাথছানি ******
সময়ের হাথ ধরে যেটুকু বা চলা,
যেটুকু বা কাছে আসা, যতটুকু বলা,
কিছুকথা মনে রেখ বলনি জা মোরে,
বাতাসের কানে বোলো , ফিস ফিস স্বরে,
পাখিদের শিশে বা ফুলের সুবাসে,
হয়তোবা চুপ করে গাছেদের মাঝে,
মিশে যেও বেহিসাবি প্রকৃতির সুরে,
আপনাকে ভুলে গিয়ে মনে রেখ তারে,
... স্মিতির প্রভাবে যদি ভেসে যাই দূরে,
বরষার গান হয়ে আসি যদি ফিরে,
রিমঝিম ধ্বনি মাঝে খুঁজে নিও মোরে ........
কথা দিয়ে আমি রেখেছি সে কথা ,
আজ ভেসেছি ভাঁটার টানেই ,
গোপন রেখেছি ছিল যা বলার,
সুধু তা তোমার আমার কানেই ......।।
সময়ের হাথ ধরে যেটুকু বা চলা,
যেটুকু বা কাছে আসা, যতটুকু বলা,
কিছুকথা মনে রেখ বলনি জা মোরে,
বাতাসের কানে বোলো , ফিস ফিস স্বরে,
পাখিদের শিশে বা ফুলের সুবাসে,
হয়তোবা চুপ করে গাছেদের মাঝে,
মিশে যেও বেহিসাবি প্রকৃতির সুরে,
আপনাকে ভুলে গিয়ে মনে রেখ তারে,
... স্মিতির প্রভাবে যদি ভেসে যাই দূরে,
বরষার গান হয়ে আসি যদি ফিরে,
রিমঝিম ধ্বনি মাঝে খুঁজে নিও মোরে ........
কথা দিয়ে আমি রেখেছি সে কথা ,
আজ ভেসেছি ভাঁটার টানেই ,
গোপন রেখেছি ছিল যা বলার,
সুধু তা তোমার আমার কানেই ......।।
অশোক কুমার গাঙ্গুলী
বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
ভ্যালেন্টাইন ডে Jayati Bhattacharya
জয়তি ভাট্টাছার্জী
আজকে এস না,আমরা সকলে
ভালোবাসাবাসি করি,
ভ্যালেন্টাইনকে চিনি বা না চিনি
মনটি সুধায় ভরি ।
লাল গোলাপ আর চকোলেট
আর গ্রিটিংস চিঠির বন্যায়,
কত সুপুরুষ জিতে নেবে আজ
কত রূপপরী কন্যায় ।
ভালোবাসবার দিনটি আজকে,
শুধু আজ,জেনো কাল নয়,
বারোমাস তিন-ছয়-চার দিন
দিনগত শুধু পাপক্ষয় ।
হানাহানি আর স্বার্থদ্বন্দ্বে
কেটে যাক তবে সালভর,
আজকে আমরা সবাই আপন,
কাল থেকে ফের হই পর ।
বসন্তের এই রঙিন আবেশে
সমীরণ মৃদুমন্দ,
শুধু আজ,আর কাল থেকে হোক
ভালোবাসাবাসি বন্ধ !!
~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~মূর্চ ্ছণা~*~
মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
পলাশ ***/ত্রিভুবনজিত্ মুখার্জী/***
পলাশ
শুন্ন শাখায় পলাশ ফুটেছে
শুন্ন শাখায় পলাশ ফুটেছে
স্বপ্নের মত ডালে
,
গন্ধ বিহীন রুপ লাবন্যে
গন্ধ বিহীন রুপ লাবন্যে
সরমেতে ফোটে ডালে ।
বন্য তবুও সুন্দর সে
অনাদরে ঝরে পডে
,
অগম্য বনানী সরু বাঁকা পথে
অগম্য বনানী সরু বাঁকা পথে
পথিকের চোখে পডে ।
জানেনা কার অভিশাপে সে
ধরায়ে লুটিয়া পডে ,
বিরহ বৈশাখের উত্তপ্ত যৌবনে
অবহেলায় ঝরিয়া পডে
।
কেউ তারে দেয়না স্নেহের পরশ
কেউ তারে দেয়না স্নেহের পরশ
কেউ রাখেনা ফুলদানিতে ,
বুনো ফুলের শোভা আছে শুধু
গন্ধ নেইত তাতে ।
তাইত অভিমানে পলাশ
গাইছে তার ই গাথা
,
মনে রেখ এই শ্যামল বনানিতে
মনে রেখ এই শ্যামল বনানিতে
আমি আছি তুলে মাথা ।
***/ত্রিভুবনজিত্ মুখার্জী/***
নিঝুম নিশুতি রাতে কে তুমি এলে ? ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী।
নিঝুম নিশুতি রাতে কে তুমি এলে ?
আগে তো দেখিনি তোমারে, নিশিথে যে এলে !
উদাস নয়েনে দেখি তোমারি পানে
সত্যি কি তুমি এলে , কেউ যদি জানে !
অবাক হয়েছি শুধু মুখে নেই ভাষা
বিস্ময়ে চাই তোমারে চোখ দুটো খাসা
হেরিলে মন আমার এ নিশুতি রাতে
অপোলোক নয়নে দেখি, চাই যে তোমাকে পেতে।
একি স্বপ্ন না বাস্তব চাইনা জানতে
তবুও চাই জেন আমি তোমাকে পেতে।
ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী।
সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
মর্মী / শর্মিষ্ঠা ঘোষ
মর্মী / শর্মিষ্ঠা ঘোষ
সম্প্রতি দেয়ালগুলো ম ম করছে কার্বনগন্ধে
এখন বসন্তের কথা বলতে লজ্জা লাগছে
যার দিকেই তাকাই থমথমে ইতিহাস
এখন প্রেমের কবিতা উহ্য থাক কিছুদিন
পাশের ঘরে আগুনের আঁচ ভুলতে দেয় না
আমায় ভুলতে দেয়না পূর্বপুরুষের চিতা
অজস্র মিছিলের মুখে কিভাবে যেন ফুটে ওঠে
এক একটা ক্ষুদিরাম মাস্টারদা বি-বা-দি
মনেহয় প্রতিবাদী শিশুটিকে কোলে টানি
গাল টিপে চুমু খাই ওর লালসবুজ ট্যাটুতে
আমার অ্যাড্রিনালিন ঝরঝর ঝরে যখন দেখি
ঘরবাড়ি খাওয়া ঘুম রাজপথে নেমে গেছে
সম্প্রতি দেয়ালগুলো ম ম করছে কার্বনগন্ধে
এখন বসন্তের কথা বলতে লজ্জা লাগছে
যার দিকেই তাকাই থমথমে ইতিহাস
এখন প্রেমের কবিতা উহ্য থাক কিছুদিন
পাশের ঘরে আগুনের আঁচ ভুলতে দেয় না
আমায় ভুলতে দেয়না পূর্বপুরুষের চিতা
অজস্র মিছিলের মুখে কিভাবে যেন ফুটে ওঠে
এক একটা ক্ষুদিরাম মাস্টারদা বি-বা-দি
মনেহয় প্রতিবাদী শিশুটিকে কোলে টানি
গাল টিপে চুমু খাই ওর লালসবুজ ট্যাটুতে
আমার অ্যাড্রিনালিন ঝরঝর ঝরে যখন দেখি
ঘরবাড়ি খাওয়া ঘুম রাজপথে নেমে গেছে
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)