ঝর্না চ্যাটার্জি
আয়োজনের কমতি ছিলনা কোথাও
সেই বাঁধানো ঘাট, বকুল গাছ
চাতালে বসে অভিমান
এমনকি জলে ডোবা গাছের নীচ্য ডালে
শিশুদের চীৎকার ও
শুধু, শৈবলিনী কথা রাখেনি
ছিল না সে কোথাও ।
তারপরেও কেটে গেছে অনেকগুলো বছর
চন্দ্রশেখর এখনও পড়ায় এই গ্রামেরই স্কুলে
ছেলেবেলার বন্ধুরা সব আছে যে যার মতন
মেয়েরা শ্বশুরঘরে
সেদিন দুপুরবেলায়
হঠাৎ ই মাঝপথে
ইস্কুলের খাতা হাতে ছোট্ট এক মেয়ে
গুটি গুটি এসে ঢোকে পুরোন সেই ঘরে
বাঁধানো চাতাল ধারে
চন্দ্রশেখর চেয়ে দ্যাখে সেদিনের সেই নারীর
হাতের আঙ্গুল ধরা আছে ছোট্ট এই মেয়ের
চোখ তুলে কথা বলার আগেই,
দু-হাত তুলে মাফ চেয়ে নারী বলে,
‘এখনো আছে বকুল গাছ,বাঁধানো সেই ঘাট,এখনো আছ তুমি
সেদিন যেটা পারিনি,আজকে শুধব আমি’...
চোখের সামনে উথাল-পাথাল ঢেউ
লোক, লস্কর সবাই এলো ছুটে
বিস্তর হলো খোঁজা
পেল না তাকে কেউ
শৈবালিনী রাখলো কথা অনেকবছর পরে......
ঝর্না চ্যাটার্জি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন