শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৩

একটি উজ্বল ষাঁড় / পূর্নেন্দু পত্রী



চিরদিনের কবিতা
একটি উজ্বল ষাঁড় / পূর্নেন্দু পত্রী

একটি উজ্বল ষাঁড় লিফটে চেপে ঊর্ধে উঠে যান,
তখনই বন্দনা গান গেয়ে ওঠে একপাল কৃতার্থ ছাগল ।
জুলিয়াস সিজারের মতো তিনি, মিশরের ফারাও-এর মতো
যেন এই শতাব্দীর তরুণ বয়সী এক নবতম আলেকজান্ডার
পাতলা ক্রীমের মতো মহান হাসি তাঁর মুখে
চেঙ্গিজ খানের মতো চোখ বহুদূর
স্বপ্নের রক্তাক্ত সিঁড়ি, যেন জেনে গিয়েছেন তিনি
ভূমধ্য সাগর এসে পায়ে পড়ে হবে পুষ্করিনী ।

প্রভু, কোন দৈববাণী দেবেন কি আজ ?
কোন ধন্য সার্কুলার ? অথবা সুসমাচার টাইপরাইটারে ?
বিশ্বস্ত বাদুড় বৃন্দ এইভাবে নিজেদের ল্যাজের চামরে
নিভৃতে আরতি করে যায় ।

একটি উজ্বল ষাঁড় মেহগনি কাঠের মস্ত সিংহাসনে, একগুচ্ছ চাবি
খুলে যান সারি সারি ড্রয়ার, ফাইল, খোপ-ঝোপ
যুদ্ধের ম্যাপের মতো দেগে যান রণক্ষেত্র আর আক্রমণ
তূরী-ভেরী-জগঝম্প বাজে টেলিফোনে ।

আমি চাইনা লালকালি দিয়ে কেউ কবিতা লিখুক
আমি চাইনা কারো ঘাড়ে আলোক শিখার মতো দর্পিত কেশর ।
ধ্রুবতারা ভালোবেসে, ভালোবেসে বেহুলার ভেলা
গাছের শিকড় থেকে খোলা হাওয়া পেড়ে আনে যারা,

যাদের হৃৎপিণ্ড জুড়ে জেগে আছে সমুদ্রের শাখ,
আমি চাইনা তারা ইঁদুরের গর্তে বসে খঞ্জনী বাজাক ।
একটি উজ্বল ষাঁড় এইভাবে পেয়ে গেছে তুরুপের সবকটি তাস ।
শুনেছি এবার তিনি নক্ষত্র মন্ডলে
সত্তর বিঘের মতো জমি কিনে করবেন আলু-কুমড়ো-পটলের চাষ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন