‘এসেছে বরষা এসেছে নবীন বরষা,
গগন ভরিয়া এসেছে ভুবন ভরসা –
দুলিছে পবনে সনসন বনবীথিকা,
গীতময় তরুলতিকা ।
শতেক যুগের কবিদলে মিলি আকাশে
ধ্বনিয়া তুলিছে মত্তমদির বাতাসে
শতেক যুগের গীতিকা ।
শশতগীতমুখরিত বনবীথিকা’ ।।
বর্ষা মানে খরতাপের অবসানে রসসিক্তা ধরনীতে নব-সৃষ্টির বীজ । বর্ষা মানেগান, কবিতাও । বর্ষা মানে—
‘কেবল আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব’ । ’ বরিষণমুখরিত শ্রাবণ-রাত কবির কাছে তো এই বারতাই নিয়ে আসে -
“বালিশে মাথা রেখে যারা ঘুমিয়ে আছে
তারা ঘুমিয়ে থাকে;
কাল ভোরে জাগবার জন্য ।
যে-সব ধূসর হাসি, গল্প, প্রেম, মুখরেখা
পৃথিবীর পাথরে কঙ্কালে অন্ধকারে মিশেছিলো
ধীরে ধীরে যেগে ওঠে তারা;
পৃথিবীর অবিচলিত পঞ্জর থেকে খশিয়ে
আমাকে খুঁজে বা’র করে” । (জীবনানন্দ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন